হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জয়পুরহাট সদরের সোটাহার ধারকী এলাকার দিনমজুর নুরুল হককে (৬৬) হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এই রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের মৃত ফরেজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফ (৬৬), মোহাম্মদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৪১), আব্দুর রউফের ছেলে আলী হোসেন (৩৩), খোকন হোসেন (৩১), মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৬), আক্তারুজ্জামানের ছেলে রোকন হোসেন (৩৩), বাবু হোসেন (৩১), মৃত আবু সাঈদের ছেলে মিজানুর রহমান (৫৬), মিজানুর রহমানের ছেলে সিরাজুল (৪১)।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি নুরুল হক হিচমী এলাকার আমান উল্লাহর জমিতে দিনমজুর হিসেবে ধান কাটছিলেন। আহসানউল্লাহর বিবদমান জমিতে ধান কাটার সময় উপরোক্ত আসামিরা নুরুল হককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন দুপুরেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মাছুম বাদী হয়ে ওই দিনই জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।

পরে জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন এসআই মমিনুল হক মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালতের বিচারক এ রায় দেন। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি, শামীমুল ইসলাম শামীম এপিপি, গকুল চন্দ্র মন্ডল এপিপি। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন হেনা কবির ও শাহানুর রহমান শাহিন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.