সরি রংপুর: সোহান

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হারের পরও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল রংপুরের সামনে। ফরচুন বরিশালকে হারাতে পারলেই শিরোপা জয়ের আরও কাছে যেতে পারতেন সোহানের দল। কিন্তু মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হলো ঠিক উল্টোটা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বরিশালের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে রংপুর। এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে তারা।

মেহেদীর পর পাওয়ার প্লের মাঝে বিদায় নিয়েছেন সাকিব, রনি তালুকদাররা। মাঝে নিশাম ভালো শুরু করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ পুরান-মোহাম্মদ নবিরা। তাতে মাত্র ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। সেখান থেকে একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের টেনে তোলেন শামীম এবং আবু হায়দার রনি। শেষ ৫ ওভার তাড়া দুজনে মিলে রংপুরকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন।

যেখানে শামীমের সঙ্গে আবু হায়দার গড়েছেন ৭২ রানের জুটি। এদিন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো শামীম মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে। তাতেই অবশ্য ১৪৯ রানের পুঁজি পায় রংপুর।

যদিও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দেশি শেখ মেহেদী, শামীম পাটোয়ারি, হাসান মাহমুদরা। বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে জিমি নিশাম, বাবর আজম থেকে শুরু করে রংপুর রাইডার্সের হয়ে এবারের মৌসুমে খেললেন নিকোলাস পুরান। তবুও বিপিএলের ফাইনালে উঠতে পারল না রংপুর। লিগ পর্বে ভালো খেলেও ফাইনালে যেতে পারায় ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন নুরুল হাসান সোহান।

রংপুরের অধিনায়ক দায় দিচ্ছেন পাওয়ার প্লেতে বেশি উইকেট হারানোকে। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে সোহান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে পাওয়ার প্লেতে একটু বেশি উইকেট… রানও হয় নাই উইকেটও হারিয়েছি। এটা একটা কারণ ছিল। অবশ্যই শামীম একটা ভালো ইনিংস খেলেছে কিন্তু এটা যথেষ্ট ছিল না।’

শুরুর দিকে ধুঁকলেও লিগ পর্বের মাঝামাঝি সময়ে ছন্দ খুঁজে পায় রংপুর। যেখানে শেষ দিকে টানা ৭-৮টি ম্যাচ জিতে তারা। তবে শেষ তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলতে পারেনি সোহানের দল। এমনটা স্বীকার করে রংপুর অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, নির্দিষ্ট করে কারও জন্য কিছু না আমরা দল হিসেবেই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। আপনি যদি দেখেন ৭-৮ টা ম্যাচ জেতার পর শেষ তিনটা ম্যাচই আমরা বাজে খেলেছি। আসলে পাওয়ার প্লেতে আমাদের রান হয় নাই, উইকেটও হারিয়েছি। শামীম ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ওইভাবে খেলতে পারেনি। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম যে শামীম অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছে যার কারণে হয়ত রানটা ১৫০ এর কাছাকাছি এসেছে।’

তারকা ঠাসা দল সাজালেও ফাইনাল খেলতে না পারায় আফসোস করছেন সোহান। দলকে ফাইনালে তুলতে না পারার পুরো দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করার পরও ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রতিদান দিতে না পারায় সরি বলেছেন রংপুরের অধিনায়ক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.