ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে পুনরায় বিএসইসি’র নির্দেশ

নিয়ম অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ ধারণ করতে হবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের। তবে এখনো ২৬টি কোম্পানি এই নির্দেশনা পরিপালন করেনি। এসব কোম্পানিকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে পুনরায় নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি বিএসইসি’র কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে তাদের অসম্মতির ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি। আর ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নেই এমন ৬টি কোম্পানিতে দুইজন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৩টি কোম্পানিকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার জন্য এক বছর সময় দিয়েছে বিএসইসি।

জানা যায়, পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি বিশদ পরিকল্পনা চেয়েছিল বিএসইসি। তখন ১৩টি কোম্পানি বিএসইসির ওই নির্দেশনায় সাড়া দিলেও বাকিগুলো কোনো জবাব দেয়নি।

বিএসইসির কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব কোম্পানির কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে অসম্মতির ব্যাখ্যা চেয়েছে- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, মিথুন নিটিং, নর্দার্ন জুট, সুহ্নদ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস এবং অ্যাপোলো ইস্পাত।

অন্যদিকে ৬টি কোম্পানিতে দুইজন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হলো- এফএএস ফাইন্যান্স, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ফার্মা এইডস, আলহাজ টেক্সটাইল, রিং শাইন টেক্সটাইল এবং আজিজ পাইপস।

আর ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করার জন্য এক বছর যেসব কোম্পানিগুলোকে সময় দেওয়া হয়েছে- ফাইন ফুডস, সালভো কেমিক্যাল, ফু-ওয়াং ফুডস, আইএসএন লিমিটেড, এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক, ন্যাশনাল ব্যাংক, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, আফতাব অটোমোবাইলস, ইনটেক লিমিটেড, সিএন্ডএ টেক্সটাইলস এবং আরএসআরএম। একইসঙ্গে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব কোম্পানিগুলো কিভাবে শেয়ার ধারণ করবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা চেয়েছে বিএসইসি।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.