ব্যাংকাস্যুরেন্সের উদ্বোধন হচ্ছে জাতীয় বিমা দিবসে

দেশের ব্যাংকে বিমাপণ্য বেচা-কেনার সেবা চালু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। প্রাথমিকভাবে দেশের কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কিছু শাখায় সেবাটি মিলবে। ধীরে ধীরে তাদের সব শাখায় এবং অন্যান্য ব্যাংকও ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা দেবে। এর আগে আগামী ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবসে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবার উদ্বোধন হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবার জাতীয় বিমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করব বিমা গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।

ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা চালুর জন্য ইতিমধ্যে একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন বিমাপণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হবে। একটি ব্যাংক একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি জীবনবিমা ও তিনটি সাধারণ বিমার পণ্যসেবা বিক্রি করতে পারবে। যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, তারাই শুধু এই সেবায় যুক্ত হতে পারবে। ব্যাংকগুলোকে বিমাপণ্য বিক্রির পর গ্রাহকের বিমা দাবি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো ব্যাংকাস্যুরেন্সের এজেন্ট হতে পারবে। এ জন্য বীমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে, কোনো ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট তিনটির বেশি বীমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এজন্য বীমা কোম্পানিকে আইডিআরএ এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এর ফলে বীমা পণ্যের জন্য গ্রাহকদের বীমা কোম্পানিতে যেতে হবে না, ব্যাংকের শাখায় গেলেই চলবে। অর্থাৎ ব্যাংক তার নিজের গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিং পণ্যের পাশাপাশি বীমা পণ্যও বিক্রি করবে। পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পেনশন, স্বাস্থ্য, দুর্ঘটনা, দেনমোহর, শিক্ষা, ওমরাহ, হজ ইত্যাদি।

১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে প্রথম এটি চালু হয়। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে জীবন বীমা পলিসি বিক্রি হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও তা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি চালু হয় প্রায় তিন যুগ আগে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও ব্যাংকাস্যুরেন্সে সফল হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.