ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ৩৪-৭০ পয়সা

সরকার বিদ্যুতে বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১২ বার বেড়েছে। শুধু ২০২৩ সালে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়।

এদিকে গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও দাম বাড়ানো হবে, দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।

আগের সপ্তাহে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লেও গ্যাসের দাম শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই বাড়বে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে গেছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। আগে ডলার ৭৮ টাকায় পাওয়া যেত, এখন প্রায় ১২০ টাকার মতো হয়ে গেছে। প্রতি ডলারে প্রায় ৪০ টাকার মতো বেশি খরচ হচ্ছে। এতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে বড় গ্রাহকদের দাম বাড়ানো হবে যাতে কম ব্যবহানরকারীরা ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ পায়।

আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.