তামিম-মেয়ার্সের হাফ সেঞ্চুরিতে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুভাগত হোমের ওভারে ঝড় তুললেন কাইল মেয়ার্স। তিন ছক্কা ও দুই চারে ক্যারিবীয় এই ব্যাটার নিলেন ২৬ রান। পাওয়ার প্লে শেষে ফরচুন বরিশালের রান এক উইকেট হারিয়ে ৭৩। সেখান থেকে আর পা হড়কায়নি বরিশাল। মেয়ার্স ও তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে তারা। তাতে করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিলো বরিশাল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যে হেরে যাওয়া দল।

আহমেদ শেহজাদকে একাদশ থেকে সরিয়ে দেয়ায় রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী ছিলেন সৌম্য সরকার। এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমেই ব্যর্থ হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শুভাগত হোমের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন। সৌম্য ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। পরের ওভারে আউট হতে পারতেন তামিমও। আল আমিন হোসেন অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে ড্রাইভ করেছিলেন। টপ এজ হয়ে বল থার্ডম্যানে গেলেও সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি সৈকত আলী। এক রানে জীবন পেয়ে সেটা ভালোভাবেই কাজ লাগিয়েছেন তামিম। তবে শুরুর দিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে মেয়ার্সের ব্যাটিং ঝড়ই দেখতে হয়েছে তাকে।

এদিন শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন মেয়ার্স। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শুভাগত হোমের বিপক্ষে তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৬ রান এনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। তামিম ও মেয়ার্সের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তোলে বরিশাল। দারুণ ব্যাটিং করা মেয়ার্স হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ২৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন বিলাল খানের বলে ইমরানের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে। মেয়ার্সের মতো হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিমও। বরিশালের অধিনায়ক পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৪১ বলে। এদিকে তামিমের হাফ সেঞ্চুরির আগে আউট হয়েছেন ১৭ রান করা মিলার। এরপর মুশফিককে সঙ্গে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন ৫২ রানে অপরাজিত থাকা তামিম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে টপ এজ হয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়তে হয় তাকে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইমরান উজ্জামান। ওবেদ ম্যাকয়ের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।

জশ ব্রাউনের ব্যাটে অবশ্য পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে চট্টগ্রাম। ব্রাউনের সঙ্গে টম ব্রুস জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা করতে দেননি ম্যাকয়। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার ফিরেছেন ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। ব্রুস, সৈকত আলীরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এদিন ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি রোমারিও শেফার্ডও। মাঝে শুভাগত হোমের ২৪ রানের ইনিংস কেবল চট্টগ্রামের রান একশ পেরিয়েছে। শেষদিকে পুঁজিটা বড় করেছেন সালাউদ্দিন সাকিল এবং নিহাদ উজ জামান। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন এবং ম্যাকয়।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.