ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের অব্যাহত আগ্রাসন ও গণহত্যার চলছে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান আজ খান ইউনুসের দক্ষিণে অবস্থিত ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে একটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে। এতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ছাড়া, ইসরাইলি সেনারা সর্বশেষ কয়েক ঘণ্টায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। খান ইউনুস শহরের আমাল এলাকায় ইসরাইলি সেনারা হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি গুড়িয়ে দেয় এবং চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়।
ফিলিস্তিনিদের অব্যাহত হত্যা এবং আল-আকসা মসজিদের অবমাননার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিরুদ্ধে আল আকসা তুফান অভিযান চালায় এবং কয়েক শ’ ইসরাইলিকে পণবন্দী করে। এই সামরিক পরাজয়ের পর দখলদার ইসরাইল, আল-আকসা তুফান অভিযানের প্রতিশোধ নিতে গাজার আবাসিক এলাকায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণ এবং নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হত্যা অব্যাহত রেখেছে। তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা, হাসপাতালে বোমাবর্ষণ এবং অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা অব্যাহত রেখেছে। তবে ইসরাইল ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও হামাসকে ধ্বংস করা কিংবা তাদের হাতে আটক ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্ত করাসহ কোনো লক্ষ্যই ইসরাইল অর্জন করতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে ইসরাইল গত ২৪ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতি এবং কিছু সংখ্যক বন্দি বিনিময় এবং গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল। কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করে।
এরপর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও ইসরাইল তা মানেনি। হামাসের মুখপাত্র জিহাদ ত্বহা গাজায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার কারণ সম্পর্কে ইরানের আল-আলম টিভি চ্যানেলকে বলেন, ইসরাইলের ১০ জনকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে কথা ছিল ইসরাইলি কারাগার থেকে আরো ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু ইসরাইল তা মানেনি এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বোমা হামলায় ওই ইসরাইলিরা নিহত হলেও ইসরাইল তাদের বন্দীদের লাশ নিতে অস্বীকার করেছিল।
যাইহোক ইসরাইল এখনো গাজায় বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ফিলিস্তিনিরা যেভাবে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে ইসরাইল তাদের লক্ষ্য অর্জনে কতটুকু সফল হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.