মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না

মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আদালত দেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যাতে গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণকে নিরুৎসাহিত করে এবং গাইডলাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের রুল নিষ্পত্তি করে এবং বিচার্য বিষয়টি চলমান রেখে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, একই সঙ্গে গর্ভের শিশুর পরীক্ষার রিপোর্টের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সুরক্ষায় প্রসবপূর্ব লিঙ্গ শনাক্তকরণ নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে করা চার বছরের পুরোনো রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ণয় এবং গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয়ে ব্যবহৃত মেশিন বিক্রি, স্থানান্তর বা পরিচালনা বন্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্ত রোধে নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি গাইডলাইন দাখিল করে জানায়, গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

গাইডলাইনের শিরোনাম ‘ন্যশনাল গাইডলাইন ফর দ্য প্রিভেনশন অব সন প্রেফারেন্স অ্যান্ড দ্য রিস্ক অব জেন্ডার-বায়াসড সেক্স সিলেকশন, ২০২২’। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ও আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.