ইউক্রেন যুদ্ধে সরব হলেও গাজায় নীরব ইইউ

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধের বিষয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশের চেষ্টা করেছে তাতে বাধা দিয়েছে হাঙ্গেরি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন কূটনীতিক মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো এবং ব্লুমবার্গকে এই তথ্য দিয়েছেন।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের কার্যালয় থেকে একটি ই-মেইলে বলা হয়েছে, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে “ঐকমত্য না হওয়ায়” ইইউ’র পক্ষে মিশেল, ইউরোপীয় সংসদের সভাপতি রবার্টা মেটসোলা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠানো হবে।

এই বিবৃতিতে রাশিয়াকে দায়ী করে বলা হয়েছে, মস্কো পূর্ণমাত্রার আগ্রাসী যুদ্ধ এবং সহিংসতা, বর্বরতা, সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। পক্ষান্তরে এই বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতি জোরালো ভাষায় অকুণ্ঠভাবে রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সমর্থনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ব্লুমবার্গ এবং পলিটিকোর সাথে কথা বলা একজন কূটনীতিকের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি ন্যাটো-বহির্ভূত সদস্যের ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত ভাষা নিয়ে “সন্দেহ” বা “আপত্তি” ছিল এবং তারা সমালোচনা করেছে যে, ইউরোপীয় জোট গাজা সংঘাতের বিষয়ে “নীরব” রয়েছে। আপত্তি করা দেশটির নাম উল্লেখ না করলেও এটা পরিষ্কার যে, শুধুমাত্র অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য কিন্তু ন্যাটো জোটের সদস্য নয়।

হাঙ্গেরি যৌথ বিবৃতিতে তাদের ভেটো নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। বুদাপেস্ট কিয়েভের জন্য ব্রাসেলসের সামরিক সমর্থনের বিরুদ্ধে লাগাতারভাবে সমালোচনা করে আসছে। হাঙ্গেরি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে কিংবা অস্ত্র সরবরাহে তার ভূখণ্ডকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.