৪৩১ রানের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল অজিদের। কিন্তু দলীয় ২৯ রানেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় দলটি। অ্যাডাম মিলনের বলে মিড অনে ক্যাচ তুলে ২৪ রানেই ফেরেন তিনি। এরপর আক্রমনাত্বক ভঙ্গিমায় খেলতে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার।

এই স্পিনারের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন ওয়ার্নার। ২০ বলে ৩২ রান করে ফেরার পর অজিদের হাল ধরার চেষ্টা করেন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাদের ব্যাটে করেই শতরান পার করে অজিরা। কিন্তু ৪২ রানের জুটি ভাঙে ম্যাক্সওয়েল ফিরলে। লকি ফার্গুনসনের বলে বোল্ড হন এই মারকুটে ব্যাটার। অবশ্য অজিদের রানের চাকা সচল থাকে মার্শের ব্যাটে করেই। জশ ইংলিসকে সঙ্গী করে ৬১ রানের জুটি গড়েন তিনি। এ সময় মাত্র ২৯ বলেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মার্শ। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙে ২০ বলে ২০ রান করা ইনিংলিস ফিরলে। যদিও টিম ডেভিডকে ও মার্শ সেরেছেন বাকি কাজ। শেষ দুই ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিলো ৩৫ রান।

মিলনের ১৯ তম ওভারে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন ডেভিড। জয়ের জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান। সেখানে শেষ তিন বলে সমীকরণটা দাঁড়িয়েছিল ১২ রানে। টিম ডেভিড দারুণভাবেই ফিনিশিং এনে দিলেন দলকে। টিম সাউদির চতুর্থ বলে লেগ সাইডে ছয়ের মার খেলেন তিনি। পরের বলে দুই ও শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে চার মারলে ২১৬ রানের লক্ষ্যে পৌছে যার অজিরা। ফলে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অজিরা। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।

ওয়ালিংটনে দিনটা ছিলো ব্যাটারদের জন্যই। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তোলে কিউইরা। এরপর কনওয়ে ও রাচিন রবিন্দ্রর জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে খেলেন ৪৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস ও রাচিন খেলেন ৩৫ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস।

রাচিনের ইনিংস জুড়ে ছিল ছয়টি ছক্কা ও দুটি চারের মার। সবশেষ গ্লেন ফিলিপস ১০ বলে ১৯ ও মার্ক চ্যাপম্যান ১৩ বলে ১৮ রান করলে ২১৫ রানেরর বড় সংরহ পায় স্বাগতিকরা। অজিদের হয়ে এক উইকেট নিয়ে সবথেকে খরুচে বোলার ছিলেন প্যাট কামিন্স। চার ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.