লিটনের ৮৫ রানের পরও কুমিল্লার হার

টানা জয়ে উড়তে থাকলেও গ্রুপ পর্বের শেষের দিকে এসে হার দেখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কোয়ালিফায়ারের লড়াইয়ে থাকা ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের মোকাবেলা করার আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে হারল তারা। এক প্রান্ত আগলে লিটন দাস ৮৫ রানের ইনিংস খেললেও বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জেতাতে পারেননি। সিলেটের কাছে কুমিল্লার হার ১২ রানে। প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও খানিকটা স্বস্তির জয়ই পেল সিলেট।

জয়ের জন্য ১৭৮ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। সামিত প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরের হাফ ভলি ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেনার লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। তানজিম হাসান সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লটের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন ১৭ রান করা এই ব্যাটার।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান তোলে কুমিল্লা। আরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের দশম ওভার থেকে এসেছে ২২ রান। তাতেই যেন ছন্দ খুঁজে পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ছন্দ পেয়ে যান অধিনায়ক লিটনও। শুরুর দিকে ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৩৬ বলে। লিটনকে সঙ্গ দেয়া জনসন চার্লস অবশ্য এদিন সুবিধা করতে পারেননি। শফিকুল ইসলামের বলে ফিরেছেন ২০ বেল ১২ রান করে। মঈন আলী ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। বেনি হাওয়েলের অফ কাটার স্লোয়ারে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ইংলিশ এই ব্যাটার। এর আগে অবশ্য ৬৯ রানে জীবন পেয়েছেন লিটন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি ৮৫ রানের ইনিংস খেলা কুমিল্লার অধিনায়ক। আন্দ্রে রাসেল ২৩ রান করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অবশেষে ভালো শুরুর দেখা পায় সিলেট। এবারের পুরো বিপিএলেই ব্যর্থ হয়েছেন সিলেটের ওপেনাররা। এদিন জাকির হাসানের সঙ্গে সদ্য যোগ দেয়া লুইস মিলে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪০ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে উইকেট হারায় তারা। সুনীল নারিনের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৮ রান করা জাকির। আরেক ওপেনার লুইস বিদায় নিয়েছেন ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে। তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পুরো বিপিএল ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা শান্ত এদিন আউট হয়েছেন ১২ রানে। কয়েক ম্যাচ পর একাদশে ফেরা ইয়াসির আলী রাব্বি ২ রানের বেশি করতে পারেননি।

দারুণ শুরুর পর ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেট যখন বিপাকে তখন হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং বেনি হাওয়েল। সিলেটের অধিনায়ক একপ্রান্ত আগলে রেখে খেললেও হাওয়েল শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্বক। ২৮ রান করা মিঠুনকে ফিরিয়ে তাদের দুজনের ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন নারিন। পরের ওভারেই অবশ্য মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন হাওয়েল। তাকে সঙ্গ দেয়া আরিফুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান। তাতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের পুঁজি পায় সিলেট। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নারিন এবং রিশাদ হোসেন। একটি উইকেট পেয়েছেন মুশফিক হাসান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.