প্রতি বছর ৭৭মিলিয়নের বেশি মীল সরবরাহ করে এমিরেটস

নিজস্ব ও অন্যান্য এয়ারলাইনের ফ্লাইটে পরিবেশিত সুস্বাদু খাবারের পরিমান, পরিবেশনা এবং এসকল খাবার প্রস্তুতকারী শেফদের নিয়ে বেশ কিছু মজাদার তথ্য প্রকাশ করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন। এয়ারলাইনটি প্রতি বছর ৭৭মিলিয়নের অধিক মীল পরিবেশন করে থাকে।

প্রতিদিন ৪৯০টি ফ্লাইটকে মীল সেবা দেয় এয়ারলাইনটি; প্রতি মিনিটে ১৪৯টি এবং প্রতিদিন ২ লাখ ১৫ হাজার মীল সরবরাহ করে। এসব সুস্বাদু খাবার তৈরিতে দুবাইয়ের এমিরেটস ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পার্টনার ক্যাটারার গুলোতে ১ হাজার ৪০০ শেফ নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রতিমাসে ২ হাজার ২০০ রেসিপির বিশাল সংগ্রহ থেকে যাত্রীরা তাদের পছন্দের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার পেয়ে থাকেন। শর্করা, প্রোটিন, আমিষ এবং শাকসবজির ভারসাম্য বজায় রেখে পরিবেশিত খাবার তৈরিতে গত বছর এয়ারলাইনটি ব্যবহার করেছে ৬মিলিয়ন কেজি ফ্রেশ চিকেন, ৩ লাখ ৫০ যাহার কেজি গরুর মাংস, ২ লাখ ৬৬ হাজার কেজি আটলান্টিক স্যামন ফিলে, ২.২ মিলিয়ন কেজি আলু, ১.৭ মিলিয়ন কেজি পাস্তুরিত ডিম, ৩.১ মিলিয়ন কেজি ব্রেড ও পেস্ট্রি এবং হাজার হাজার ভেগান ও ভেজিটারিয়ান মীল।

সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় ফ্লেভার যুক্ত মীল তৈরিতে শেফরা যেসকল উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৯ লাখ ৩৮ হাজার কেজির অধিক ফ্রেশ ক্রিম, ৩২ হাজার কেজি মশলা কাজু বাদাম, ৯৮ হাজার কেজি তাজা স্ট্রবেরি এবং এমিরেটসের মালিকানাধীন বিশ্বের বৃহত্তম ভার্টিক্যাল ফার্ম- বুস্তানিকায় উৎপাদিত শাকসবজি থেকে তৈরি ৪২ হাজার কেজি সালাদ।

নামীদামী রেস্টুরেন্টগুলোর সাথে প্রতিযোগিতাপূর্ণ হওয়ার জন্য এমিরেটস বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট উপকরণ ব্যবহারের সাথে সাথে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যগুলো অনুস্মরণ করে থাকে।

স্ন্যাকস সরবরাহ নিয়েও বেশ কিছু আকর্ষণীয় তথ্য উপস্থাপন করেছে এমিরেটস। গতবছর গ্রাহকদের বিভিন্ন আকারের ২মিলিয়নের অধিক মিক্সড বাদামের প্যাকেট, ২ লাখ ৫০ হাজার খেজুর, ২২ হাজার কেজি কালামাতা অলিভ এবং ৪০ মিলিয়নের অধিক চকলেট সরবরাহ করেছে এয়ারলাইনটি। এমিরেটস গ্রাহকরা এসময় ১.২মিলিয়ন লিটার কমলার জুস, ২.৩মিলিয়ন টিব্যাগ এবং ৭০,৩০০ কেজি গ্রাউন্ড কফি গ্রহণ করেছেন।

সঠিক ও আকর্ষণীয়ভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য এমিরেটস কেবিন ক্ররা এতদ্বসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী শ্রেষ্ঠ চর্চা, খাবার প্লেটিং, ওয়াইন সুপারিশকরণ, চা এবং কফি সার্ভিস ইত্যাদি। এমিরেটসের আতিথেয়তার কৌশলে ৪টি স্তম্ভ অনুসৃত হয়- এক্সিলেন্স, মনোযোগ, সৃজনশীল উদ্ভাবন এবং প্যাশন।

এমিরেটস বর্তমানে ঢাকায় সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং যাত্রীরা ভায়া দুবাই বিশ্বের প্রায় ১৪০টি গন্তব্যে সুবিধাজনক সংযোগ পাচ্ছেন। একমাত্র এয়ারলাইন হিসেবে এমিরেটস বাংলাদেশে ‘প্রথম শ্রেণী’ সেবা অফার করে।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.