প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল চট্টগ্রাম

শুরুটা ভালো করলেও সবশেষ তিন ম্যাচে রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে জিততেই হতো শুভাগত হোমের দলকে। তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের কল্যাণে ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচর পর জিতে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল তারা। এদিকে এক আসরে সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচ হেরে বিপিএল শেষ করলো ঢাকা।

জয়ের জন্য ১৬০ রান তাড়ায় শুরুতেই অ্যাডাম রসিংটনকে হারায় ঢাকা। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার এদিন ১ রানের বেশি করতে পারেননি। এদিকে তিনে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাব্বির হোসেন। ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন নাইম ও রস। তারা দুজনে মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি। ৩৫ বলে ২৯ রান করা নাইম ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি।

সবশেষ দুই ম্যাচের মতো এদিন ব্যর্থ শন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার এদিন করতে পেরেছেন মাত্র ৯ রান। বাকিরা সুবিধা করতে না পারলেও সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন রস। যদিও হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৫৫ রানের ইনিংস খেলে। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ইরফান শুক্কুর চেষ্টা চালালেও ঢাকাকে জেতাতে পারেননি।

টানা হারতে থাকা চট্টগ্রামের পুরো ইনিংসটা ছিল তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুসময়। তাদের দুজনের ১১৮ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ১৫৯ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। যেখানে তানজিদ ৭০ এবং নিউজিল্যান্ডের ব্রুস করেছেন ৪৮ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। সবশেষ কয়েক ম্যাচে তানজিদের সঙ্গে জশ ব্রাউন ওপেনিংয়ে নামলেও এদিন খেলেছেন সৈকত আলী। তবে নিজের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তিনে নেমে ব্রাউনও বিদায় নিয়েছেন দ্রুতই। মাত্র ২৪ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় তারা। এরপরই জুটি গড়ে তোলেন তানজিদ ও ব্রুস। তৃতীয় উইকেটে তানজিদ ও ব্রুসের ৯৫ রানের জুটি। ১১৯ রানে এই জুটির ভাঙার পর চট্টগ্রামের ইনিংস আর সেভাবে এগোয়নি।

আগের দিন ঝড় তোলা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রোমারিং শেফার্ড মাত্র তিন রান করেছেন। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দুই উইকেট নিয়েছেন। ১২ ম্যাচে এই বাঁহাতি পেসারের উইকেট সংখ্যা ২২। দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়েছেন তিনি। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার সৈকতকে ফেরানো মোসাদ্দেক ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.