ভুলে যাও ও ক্ষমা কর, দেশের স্বার্থে হাত মেলাও: ইমরানের উদ্দেশ্যে শাহবাজ

পাকিস্তানে সরকার গঠন করতে হাত মেলালেন নওয়াজ শরীফ, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও বেশ কয়েকটি ছোট দল। এই জোটে পিএমএল-এন ও পিপিপি ছাড়াও থাকছে এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, আইপিপি, ও বিএপি।

পিএমএল-এন জানিয়েছে, নওয়াজ শরীফ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হবেন। শাহবাজ শরীফই এর আগের পিএমএল-এন ও পিপিপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

তাদের জোটে ন্যাশনাল অ্য়াসেম্বলিতে সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫২। সরকার গঠনের জন্য চাই ১৬৯ জন। তবে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬০ ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি আসন এর সঙ্গে যুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পেতে জোটের কোনো অসুবিধা হবে না।

প্রশ্ন হলো- তারা কি দুই তৃতীয়াংশ বা ২২৪টি আসন পেতে পারে? এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, ইমরানের পিপিপি সমর্থিত নির্দলরা এমডাব্লিউএমের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। ফলে তারাও কিছু নারী ও সংখ্যালঘু আসন পাবে।

পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরীফ গত অক্টোবরেই লন্ডন থেকে চার বছর স্বেচ্ছা-নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছিলেন। দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নওয়াজ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার ভাই শাহবাজই প্রধানমন্ত্রী হবেন।

শাহবাজ বলেছেন, ‘জোটের সব দল মিলে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ হয়ে যাচ্ছে। আমি তো চাই ইমরানের দল পিটিআই-ও সরকারে যোগ দিক। ভুলে যাও ও ক্ষমা কর, দেশের স্বার্থে একসঙ্গে হাত মেলাও।’

ইমরান খান অবশ্য আগেই এই সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছেন। সম্প্রতি আদালতে হাজিরার সময় তিনি বলেছেন, তার দলের সদস্যরা কখনই পিএমএল-এন বা পিপিপি-র সঙ্গে বসবে না।

পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে রাজনৈতিক সংকট থেকে বাঁচাতে আমরা জোট সরকারে থাকব।’ তবে তারা সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করবেন নাকি তাদের নেতারা মন্ত্রী হবেন, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি।

এদিকে যুক্তরাজ্যে সাবেক পাক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক আকবর আহমেদ ডিডাব্লিউকে বলেছেন, পাকিস্তান আবার আগের অবস্থায় ফিরবে। দেশটিতে দুর্বল জোট সরকারের সামনে পিটিআইয়ের নেতৃত্বে শক্তিশালী বিরোধী জোট থাকবে। যদি শাহবাজ আবার প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে জারদারি আবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। পিপিপি সেটাই চাইবে। ইমরান যাদের দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য বলে সমালোচনা করছিলেন, তারাই ক্ষমতায় আসবেন।

আহমেদ বলেছেন, ‘নওয়াজের দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলেও সেটা খুবই দুর্বল সরকার হবে। কারণ, তারা শরিক দলগুলির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকবে। বিশেষ করে পিপিপি তাদের নানান দাবি আদায় করবে। তারা প্রেসিডেন্টের পদও চাইবে।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডন

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.