প্রেসিডেন্ট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চায় শরীফ, আশা ছাড়েনি ইমরানের দল

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন৷ যদিও এই ফলাফলে খুশি নয় পিটিআই সমর্থকেরা। ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে দেশের নানা জায়গায় পিটিআই সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান।

এদিকে জোট সরকার গড়া নিয়ে গতকাল লাহোরে আলোচনায় বসেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও আসিফ আলি জারদারি। পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ফলপ্রকাশের পর এটাই দুই দলের মধ্যে প্রথম আলোচনা। সেখানেই সরকার গড়তে পিপিপি-র সাহায্য চান পিএমএল-এন নেতা। যদিও পিটিআই বলছে, তারা সরকার গঠন করতে পারবে।

এর পাশাপাশি জেইউআই-এফ নেতা মৌলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন শাহবাজ শরীফ। তিনি জাতীয় সরকার গড়তে তাদের সাহায্যও চেয়েছেন। সোমবার এমকিউএম সদরদপ্তরে গিয়ে বৈঠক করার কথা পিএমএল-কিউ নেতা সুজাত হুসেনের।

পিপিপি ও পিএমএল-এনের মধ্যে আলোচনার পর দুই দলের পক্ষ থেকে যৌথভাবে জানানো হয়, ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দলকে শরীফের দল প্রেসিডেন্ট, সেনেটের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকারের পদ দিতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ পিএমএল-এনের কাছে থাকবে।

বিলাওয়াল ও আসিফ জারদারি তখন শরীফকে বলেন, পিপিপি-র সেন্ট্রাল কাউন্সিল আজ বৈঠকে বসবে। সেখানে শরীফের দলের সঙ্গে জোট করা নিয়ে আলোচনা হবে।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এরপর ইসলামাবাদে এসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লমের সঙ্গে দেখা করেন।

এদিকে গতকাল পিএমএল-এন নেতারা ইসলামাবাদে আলোচনায় বসেন। তারপর সাবেক আইনমন্ত্রী আজম নাজির বলেছেন, পিএমএল-কে বাদ দিয়ে জাতীয় স্তরে কোনো সরকার গঠন হতে পারে না। জাতীয় স্তরে একাধিক দলকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে ইমরান খানের দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লতিফ খোসা জানিয়েছেন, ফর্ম ৪৫ অনুযায়ী ৫০ জন পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তাদের কাছে এই বিষয়ে সরকারি স্ট্যাম্প, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের সই করা নথি আছে।

তার দাবি পিটিআই ওই আসনগুলি পাবে। তার উপরে নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনও পাবে। সবমিলিয়ে পিটিআইয়ের আসনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৭০। তখন তারাই সরকার গঠন করতে পারবে।

তার দাবি, পিটিআই-কে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তাদের সরকার গঠন করতে না দিলে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে। সূত্র; ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডন

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.