ইমরান খানের ভবিষ্যত কী?

এতো কিছুর মধ্যেই এখন এটা স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে এখন যে দলই জিতুক তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই ক্ষমতায় আসতে এবং থাকতে হবে।

কিন্তু তাহলে সেনা নিয়ন্ত্রণের এই রাজনীতিতে ইমরান খানের ভবিষ্যত কী? তার দল এবং রাজনীতি কি টিকে থাকতে পারবে?

দেশটির সামরিক বিশ্লেষক ইকরাম সেহগাল বলছেন, ইমরানের সামনে সে সুযোগ আছে এখনও। এর বড় কারণ হচ্ছে, তার বড় রাজনৈতিক সমর্থক গোষ্ঠী আছে। তার দল নির্বাচনে জিতে যাবে এমনটা কেউ আশা করছে না। কিন্তু পরাজিত হলেও তার প্রার্থীরা যদি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে জিতে আসতে পারে, তাহলে সেটা তাকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে দর কষাকষির শক্তি এনে দেবে। এছাড়া তিনি পিপিপি, জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলোর সঙ্গেও সমঝোতায় গিযে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে পারেন। সুতরাং ইমরান খানের রাজনীতির ভবিষ্যত শেষ হয়ে যায়নি।

পাকিস্তানে এর আগেও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার, এমন কী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ারও ইতিহাস আছে। পরে আবারও সোবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতায় রাজনীতিতে ফিরে আসার নজিরও আছে।

নওয়াজ শরিফ নিজেই একাধিকবার সে উদাহারণ তৈরি করেছেন। ফলে যে কোন নতুন রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ইমরান খানেরও সে সুযোগ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর যে নিয়ন্ত্রণ, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো খুব সহসাই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিবিসি বাংলা

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.