বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়ম, ৯ ব্যাংকের জড়িত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ  

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মের কারণে সরকারি-বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বদলি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মে জড়ানো ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪টি সরকারি ব্যাংক রয়েছে। আর বাকি ৫টি বেসরকারি খাতের বাণিজ্যক ব্যাংক রয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ডলার কারসাজিতে জড়িত। আর বেসরকারি পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মিচুউয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

পুনরায় যাতে এসব অনিয়ম না হয়, সে বিষয়ে বিমানবন্দরে থাকা এসব ব্যাংকের বুথকে তদারকি জোরদারের তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকে।

নিয়ম অনুযায়ী, ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তার বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেয়। এটি মানি লন্ডারিং।

সম্প্রতি এ ব্যাপারে দুদকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। তাদের অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যাংকিং চ্যানেলে না দেখিয়ে ডলার কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে অনেক সময় তা বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

দুদকের অভিযানে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা শাহজালাল বিমানবন্দরে বেশি বিনিময় করেন ডলার, ইউরো, রিয়াল, রিঙ্গিত, পাউন্ড ও দিনার।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.