গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম

আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলা ভাষাভাষীদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো ইংরেজি। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে ইংরেজি জানা ও বোঝার বিকল্প নেই।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগ ও সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ টেসল-বিডির সহায়তায় আয়োজিত ‘ইএফল-ইএসএল টিচার এডুকেশন অ্যান্ড ইউজ অব টেকনোলজি ইন বাংলাদেশ: প্রেজেন্ট স্টেট অ্যান্ড ফিউচার ডিরেকশন্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডিসটিংগুইসড গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমকালীন বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশেও ইংরেজির গুরুত্ব ও চাহিদা বাড়ছে। উচ্চশিক্ষা বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাদান ও গ্রহণ- উভয় ক্ষেত্রেই এই ভাষা অবশ্যম্ভাবী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বে যোগাযোগের জন্য ইংরেজির বিকল্প নেই। একুশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চিন্তা করলেও ইংরেজি জানতে হবে; যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য জরুরি। এ সময় তিনি প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে ইংরেজি ভাষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব ও সিম্পোজিয়ামের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম শহীদুল্লাহ। এ সময় তিনি ইংরেজিকে একুশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চাওয়া এবং বিশেষত শিক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা ও অপরিহার্যতাও তুলে ধরেন।

সিম্পোজিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রে রাইডার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মারিয়া ভিলালোবস বুয়েহনার, যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিচার্ড স্মিথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আরিফা রহমান, অধ্যাপক ড. এ এম এম হামিদুর রহমান, ড. রুবিনা হক, অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা, অধ্যাপক ড. সায়লা সুলতানা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনায় অংশ নেন।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.