‘ব্যবসায়ীরা কর্পোরেট কর হার কমানোর সুবিধা পাচ্ছে না’

অননুমোদিত ব্যয় ও উৎসে করের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ফলে ব্যবসায়ীরা কর্পোরেট কর হার কমানোর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এমসিসিআই সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান এ কথা বলেন।

এমসিসিআই সভাপতি বলেন, কমানোর পরও বাস্তবে এই কর কখনো কখনো ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দিতে হয়। বিদ্যমান আইনে শুধুমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কর দিতে হয়। যা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈষম্য বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, করোনার পরবর্তী অবস্থা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলসহ সকল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা
কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সরকারের বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাছাড়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য কিছু সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। সেই হিসেবে এবারের বাজেট একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট হিসেবেও গণ্য হবে।

তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের ধারণা মতে, সামগ্রিক জাতীয় রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশী আসে এমসিআিই’র সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও শিল্প গ্রুপ যারা প্রতিবছরই সর্বাধিক পরিমাণ জাতীয় রাজস্ব প্রদান করে থাকে, যেমন- বৃটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, স্কয়ার গ্রুপ, এসিআই গ্রুপ, বেক্সিমকো ও ট্রান্সকম গ্রুপসহ অন্যরাও এমসিসিআই’র সদস্য।

এমসিসিআই’র সভাপতি বলেন, এমসিসিআই সবসময়ই একটি উন্নত রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করার গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ “ডিজিটাল বাংলাদেশ” থেকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” এর দিকে এগিয়ে চলছে। সকল ক্ষেত্রেই আমরা উন্নতি লাভ করছি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বর্তমান সকারের দক্ষ নেতৃত্ব এবং বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের সামগ্রিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে এনবিআর দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.