অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জয়ে বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ব্যাটে-বলে একদমই পাত্তা পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫৯ বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতার রেকর্ড করল অজিরা। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন জাভিয়ের বার্টলেট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার কেজর্ন ওটলির ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল প্যাডে আঘাত করলেও আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত আঙুল তুলে দেন। এমনকি রিভিউও নেননি ওর্টলি। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অ্যালিক আথানাজে ও কিসি কার্টি। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই ল্যান্স মরিসের বলে আউট হন কার্টি। পয়েন্টে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন মারনাস লাবুশানে। পরের ওভারেই শন অ্যাবোটের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ আড়াআড়ি ব্যাট চালাতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। চার মেরে রানের খাতা খোলা হোপের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে চার রানেই।

পরের ওভারে বোল্ড হন টেডি বিশপ। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান বিশপ। মরিসের গতিতে পরাস্ত হন তিনি। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক প্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার আলিক আথানাজে বিদায় নেন অ্যাডাম জাম্পার বলে। ৬০ বলে ৩২ রান করে জাম্পার বলে সুইপ করতে গিইয়ে বল ওপরে তুলে দেন আথানাজে। সেই বল জমা পড়ে অ্যাবোটের হাতে। এরপর শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ ১৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

পরের ওভারেই বার্টলেটের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন রোমারিও শেফার্ড। এক বল পরেই রোস্টন চেজের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন ম্যাথু ফোর্ড। ফোর্ড প্রান্ত বদল করে চেজকে স্ট্রাইক দিতে চাইলেও দৌড় দেননি চেজ। দৌড়ানোর সময় ফোর্ড পড়ে গেলে আর ফেরত আসা সম্ভব হয়নি তার।  নিজের পরের ওভারে এসে রোস্টন চেজকে ফেরান বার্টলেট। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে চেজ ক্যাচ তুলে দেন। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান চেজ। এরপরের ওভারে গুডাকেশ মোটি এলবিডব্লিউ হন জাম্পার বলে। এরপর আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ইতি টানেন বার্টলেট। মাত্র ৮৬ রান করে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার উইকেট নেন বার্টলেট।

৮৭ রানের ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন জস ইংলিশ। দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাথু ফোর্ডের ওভারে ইংলিশ মারেন তিন চার। প্রথম দুই ওভারেই অস্ট্রেলিয়া রান তুলে ২৬। এরপর ইংলিশের সাথে রানের বাউন্ডারির উৎসবে যোগ দেন জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফোর্ডের বলে তিন ছক্কা আর এক চার মারেন। তিন ওভার চার বলেই দলীয় অর্ধশত রান পূর্ণ করেন অস্ট্রেলিয়া। পরের ওভারও ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক শুরু করেন ২ চার মেরে। তৃতীয় বলেই আউট হন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। ৫ চার আর ৩ ছক্কা মারা এ ওপেনার ১৮ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

ইনিংস বড় করতে পারেননি অ্যারন হার্ডল। তিনি বিদায় নেন ৫ বলে ২ রান করে। এরপর স্টিভেন স্মিথকে সাথে নিয়ে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই দলকে জয় এনে দেন জস ইংলিশ। ১৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এ ওয়ানডে ম্যাচে খেলা হয়েছে মাত্র ৩১ ওভার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটিই সংক্ষিপ্ততম ওয়ানডে ম্যাচ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.