নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিয়মিত আন্তঃস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্তঃস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমনকি আন্তঃউপজেলা ও জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। খেলাধুলার উৎকর্ষতার জন্য দেশের আটটি বিভাগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে।

বুধবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চূড়ান্ত-পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলাকে আরও বেশি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও বেশি উন্নত প্রশিক্ষণের দরকার। কাজেই প্রশিক্ষক তৈরি করা, এটা একান্তভাবে দরকার। আমরা প্রত্যেকটা বিভাগে একটা করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব, যেটা বিকেএসপি… আটটা বিভাগে আটটা হবে। যেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় আরও পারদর্শী হতে পারবে’।

তিনি বলেন, আজকেও আমাদের একটা ভালো খবর আছে যে, আমরা ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছি। ফুটবলে আমাদের মেয়েরা খুবই ভালো করছে। স্পোর্টসের দিক থেকে মেয়েরা যেন একটু বেশিই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। তবে ছেলেরা আরও এগিয়ে যাবে। এখন হয়ত অংশগ্রহণ কম হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে কম হবে না। প্রত্যেক খেলাধুলায় ছেলে-মেয়েদের যদি আমরা ছোটবেলা থেকেই ভালো ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে তারা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশীয় খেলাকে আরও গুরুত্ব দিতে বলব। আমরা প্রত্যেকটা উপজেলা পর্যন্ত আলাদা খেলার মাঠ, অর্থাৎ মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। সেটা আমাদের বেশ কয়েকটা হয়ে গেছে, আরও বাকি আছে। এটা তৈরি করার উদ্দেশ্য হলো সারাবছরই আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন কোনো না কোনো খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। আমাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে, ফুটবল স্টেডিয়াম আছে, সেগুলো আলাদা। কিন্তু উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আমি মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই, সেটা হলো- বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস সেখানে হবে, খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে, আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হবে। যা আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও সুযোগ করে দেবে, মানে- নিজের দেশে অথবা আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাশাপাশি আন্তঃজেলা, উপজেলা, পর্যায় পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি যে, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এগুলো আয়োজন করা থাকলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতার দিক থেকে আরও উদার হবে, উন্নত হবে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.