খুলনার লড়াকু পুঁজি

৮৮ রানে ৭ উইকেট ছিল না খুলনা টাইগার্সের। অনেকেই তাদের দ্রুত অল আউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখেছিলেন। তবে শেষদিকে ক্যামিও ইনিংস খেলে খুলনাকে শক্তিশালী পুঁজি এনে দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফাহিম ১৩ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস ও নাওয়াজ ২৩ বলে ৩৮ করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা তুলেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান।

এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। তবে ১৩ বলে ১২ রান করা বিজয়কে থিতু হতে দেননি পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ। ফুল লেংথের ডেলিভারিতে প্যাডেল স্কুপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এরপরর আন আউট হয়ে কাটা পড়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২ রান।

ষষ্ঠ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের করা বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়েই রানের জন্য দৌড়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। যদিও সেই বল হাতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের দিকে ছুঁড়ে দেন খালেদ আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গেই স্টাম্প ভেঙ্গে দেন মুশফিক। রান আউট হতে হয় সোহানকে। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমন আউট হয়েছেন শোয়েব মালিকের টসড আপ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে। তাতে শেষ হয়েছে ইমনের ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংসের। পরের বলে তিনি আফিফ হোসেন ধ্রুবকে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ বানিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের। এদিকে মাহমুদুল হাসান জয়কে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম।

বাঁহাতি এই স্পিনারের বেরিয়ে যাওয়া গুড লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে বলেন লাইন মিস করেন ১৩ রান করা জয়। তাতে বল গ্লাভসবন্দি করে সহজেই জয়কে স্টাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দারুণ এক ডেলিভারিতে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেছেন তাইজুল। শেষদিকে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন নাহিদুল ইসলামও। তিনি মাত্র ৫ রান করে মোহাম্মদ ইমরান জুনিয়রের লেংথ বলে বোল্ড হয়েছেন। শেষ দিকে খুলনার রান বাড়িয়েছেন দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ। এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে খুলনা। মাত্র ২২ বলে এই দুজনের জুটি ৫০ ছাড়িয়ে যায়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.