ইরানি স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সম্প্রতি জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি সৈন্য এবং তেহরান ভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর- আল-জাজিরা ও এএফপির

যদিও ইরানের অভ্যন্তরে কোনও অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা করেনি যুক্তরাষ্ট্র, তারপরও গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের চার মাসের যুদ্ধের মধ্যে হওয়া এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আজ আমাদের জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। এটা চলবে আমাদের সময় ও পছন্দের হিসাব অনুযায়ী। যুক্তরাষ্ট্র চায় না মধ্যপ্রাচ্য বা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক। তবে যারা আমাদের আঘাত করবে, তাদের এটা জানা উচিত–যদি আমেরিকার ক্ষতি হয়, তবে আমরা জবাব দেব।

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, হামলায় কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন স্টোরেজ সুবিধা, সেইসাথে লজিস্টিক এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ চেইন সুবিধাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। সাতটি অবস্থানে বিস্তৃত ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এই সাত স্থানের মধ্যে সিরিয়ার চারটি এবং ইরাকের স্থান তিনটি। এবং এই হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসা দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমানও ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে, ইরাক এই হামলাকে তাদের ‘সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বাগদাদে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর থেকেই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী তার দেশ থেকে বিদেশি সৈন্যদের চলে যেতে বলেছেন।

গত সপ্তাহে সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালাল। প্রাণঘাতী সেই হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হয়েছিলেন। ওই হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদনের পরদিনই দুই দেশে এ হামলা চালাল মার্কিন সামরিক বাহিনী।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ অন্যান্য শীর্ষ মার্কিন নেতারা কয়েকদিন ধরে সতর্ক করে আসছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আঘাত হানবে। এ সময় তারা স্পষ্ট করে দেন, প্রতিক্রিয়া কেবল একটি আঘাতে হবে না, সময়ের সাথে সাথে বেশ কয়েকটি ‘স্তরে প্রতিক্রিয়া’ দেখানো হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.