বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন হিসেবে যুক্তরাজ্যের ‘সোলেন্ট ক্লাস্টার’ এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে, লো-কার্বন বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প, পরিবহণ এবং গৃহস্থালি কর্মকান্ডে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিরসন কমানো।
দা সোলেন্ট ক্লাস্টার বিভিন্ন খাতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম। সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে উৎপাদক ও প্রকৌশলী কোম্পানি, আঞ্চলিক বিজনেস ও শিল্প প্রতিষ্ঠান, শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক্স ও অবকাঠামো অপারেটর এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠান।
‘সোলেন পার্টনার্স’ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ বর্তমানে ক্লাস্টারে ১০০ সদস্যের একজন হল এমিরেটস। সোলেন্ট পার্টনার্স এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে রয়েছে একসন মবিল এবং সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের লক্ষ্য হলো, বর্তমান চাকুরীর সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে এভিয়েশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লো-কার্বন জ্বালানী উৎপাদন করা।
সোলেন্ট ক্লাস্টার একটি সাস্টেইনেবল এভিয়েশন ফুয়েল (এসএএফ) প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে, যার আনুমানিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রতি বছর ২ লক্ষ টন। প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে প্ল্যান্টটি ২০৩২ সাল নাগাদ উৎপাদনে যাবে। এসএএফ প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত জেট ফুয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি বছর ৫৬৩ কিলোটন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ রোধ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এই জেট ফুয়েল কেরোসিনের তুলনায় ৭০ শতাংশ কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে থাকে।
এসএএফ ব্যবহারের প্রতি ইদানীং এমিরেটস বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সোলেন্ট ক্লাস্টার এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটিও একটি প্রধান কারণ। গত বছর এয়ারলাইনটি আরও বেশ কিছু এসএএফ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.