অস্ট্রেলিয়ায় রূপকথা লিখে পিএসএলে শামার

পায়ের চোটের কারণে চতুর্থ দিন মাঠেই নামার কথা ছিল না শামার জোসেফের। অথচ সেই তিনিই কিনা গ্যাবায় পুরো অস্ট্রেলিয়াকে চুপ করে দিলেন বল হাতে। ৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ এই পেসার। এমন পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দল পেলেন তিনি। পেশাওয়ার জালমির হয়ে খেলতে দেখা যাবে শামারকে।

অ্যাডিলেড টেস্টে অভিষেক হয়েছিল গায়ানার রাজধানী জর্জটাউন থেকে অনেক দূরের বারাকারা গ্রামে জন্ম নেয়া শামারের। দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করা তরুণ এই পেসার প্রথম টেস্টেই বাজিমাত করেন। নিজের অভিষেক ডেলিভারিতেই তুলে নেন স্টিভ স্মিথের উইকেট। সেই টেস্টের এক ইনিংসে জোসেফের শিকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটার।

দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমে তো রূপকথার মতো গল্প লিখে ফেললেন। পায়ের চোট নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠ ছেড়েছিলেন জোসেফ। পরদিন সকালে বোলিং করতে নামবেন কিংবা গ্যাবা টেস্টে তাকে দেখা যাবে এমন নিশ্চয়তা ছিল না। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ২৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। তখনও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৩ রান, হাতে ৮ উইকেট। তাতে অজিদের জন্য পথটা সহজই।

যদিও প্রত্যাশা মতো হলো না কিছুই। ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড করে নিজের রূপকথার গল্পটা লেখা শুরু করলেন শামার। এরপর একে একে ফিরিয়েছেন ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের। শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দেন জোসেফ। এমন পারফরম্যান্সে পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ এই পেসার।

অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট শেষ হওয়ার পরদিনই অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের রিপ্লেসমেন্ট ড্রাফট। যেখানে নিজেদের নাম সরিয়ে নেয়া, পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে না এমন ক্রিকেটারদের বিকল্প বেছে নিয়েছে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যেখানে গাস অ্যাটকিসনের বদলি হিসেবে শামারকে দলে নিয়েছে পেশাওয়ার। পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে না ইংল্যান্ডের অ্যাটকিসনকে। সেই সময়ের জন্য শামারকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এটিই শামারের প্রথম কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। শামারের সঙ্গে পেশাওয়ার দলে টেনেছে ইংল্যান্ডের পেসার লুক উডকে। সাফওয়ান মুকিমকেও দেখা যাবে পেশাওয়ারের হয়ে খেলতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.