২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট জয় ক্যারিবিয়ানদের

আগের দিন মিচেল স্টার্কের ইয়র্কার ডেলিভারি শামার জোসেফের পায়ে আঘাত করে। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরের দিন বোলিং করতে পারবেন কিনা এমন শঙ্কাও ছিলো। কিন্তু চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের সবথেকে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়ালেন তিনি। একাই তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ফলে ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে অলআউট হয় অজিরা। আর ১৯৯৭ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল দলটি।

এর আগে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে শেষবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। কার্টলি অ্যামব্রোসের দুর্দান্ত ফাস্ট বোলিংয়ে এবং কোর্টনি ওয়ালশের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেবারই সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা।

আগের দিন ব্যাটিংয়ে নেমে স্টার্কের ইয়র্কারে ডান পায়ের আঙুলে চোট পান শামার। এ দিন বোলিং করাটাই অনিশ্চিত ছিল তার। অথচ তিনিই নিলেন ৬৮ রানে ৭ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সৃষ্টি করলেন অনন্য এক ইতিহাস। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই উইকেটে ৬০ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ জিততে তাদের দরকার ছিল আরও ১৫৬ রান। সেখান থেকে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। দলীয় ১১৩ রানে তাকে বোল্ড করেন শামার। ফেরার আগে ৭৩ বলে ৪২ রান আসে তার ব্যাটে।

ঠিক তার পরের বলে ট্রাভিস হেডকেও বোল্ড করেন শামার। ফলে গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নিতে হয় হেডকে। দলীয় ১৩২ রানে মিচেল মার্শ এবং ১৩৬ রানে অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরান শামার। মার্শের ব্যাটে আসে ১২ বলে ১০ রান। বোল্ড হওয়ার আগে ক্যারি করেন পাঁচ বলে দুই রান। তারপর অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডারও বিধ্বস্ত করেন শামার। একপ্রান্ত আগলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার স্টিভ স্মিথ। ১৪৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও একটি ছক্কার মার। অস্ট্রেলিয়া শেষপর্যন্ত ম্যাচে টিকেছিল স্মিথের ইনিংসে ভর করেই। যদিও ১৪ বলে ২১ রান করা স্টার্ক ছাড়া আর কোনও টেলএন্ডার তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।

অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন দিনের মধ্যে হেরে যাওয়া ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ইনিংসে ৩১১ রানে অলআউট হয়ে যায়। তারপর কেমার রোচ আর আলজারি জোসেফের অসাধারণ বোলিংয়ের পর অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২৮৯ রান তুলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৯৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১৬।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.