তবুও মাশরাফিকে দলে চায় সিলেট

কয়েকমাস ধরেই হাঁটুর চোটে ভুগছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে চিকিৎসা করাতে না পারায় পুরোপুরি ফিট না হয়েই বিপিএলের এবারের আসর খেলছেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তবুও মাশরাফিকে একাদশে চায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন এমনটাই।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলে না থাকা মাশরাফিকে মাঠের ক্রিকেটে কেবল দেখা যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) এবং বিপিএলে। সবশেষ ডিপিএলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলেছিলেন মাশরাফি। এরপর প্রায় ৮ মাসের মতো মাঠে দেখা যায়নি তাকে। কদিন আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যস্ত সময় পার করায় বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেননি তিনি। তবুও তাকে দলে চায় সিলেট।

নাফিস ইকবাল বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে তার গুরুত্ব বুঝে সেখান থেকে অবশ্যই চায় যে সে মাঠে উপস্থিত থাকুক। দেখেন অনেক সময় এক একটা দলের এক একটা স্ট্রেংথ থাকে। আমরা জানি মাশরাফি কতোটা ক্যাপাবল। শুধু খেলার স্কিলের দিক থেকেই নয়, লিডারশিপের দিক থেকেও। টিমের কিন্তু ওই লিডারশিপের কোয়ালিটির জন্যেও ওদিকে তাকাতে হয়। ওইদিক থেকে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক যারা আছেন তাদের চাওয়া মাশরাফি একাদশে থাকুক। হ্যাঁ, আপনি যদি প্রস্তুতির দিক থেকে বলেন, তার আগে একটা জাতীয় নির্বাচন ছিল। এ কারণে সে হয়তো ওভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি। আপনি যদি শেষ ম্যাচ দেখেন, সে দারুণ বোলিং করেছে। আমার মনে হয় যত ম্যাচ যাবে, সে আরও ভালো খেলবে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, মানসিকভাবে সে অনেক স্ট্রং। এটা উপর থেকে গিফটেড। সবার মধ্যে এই জিনিসটা থাকে না। ও খুব ভালো মানিয়ে নিতে পারে।’

গুঞ্জন ছিল হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় বিপিএলের এবারের আসরে নাও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। যদিও বিপিএল শুরুর আগের দিন হুট করেই বিসিবির একাডেমি মাঠে চলে আসেন মাশরাফি। যদিও অনুশীলন করেননি তিনি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিশ্চিত করা হয় মাশরাফিই সিলেটের অধিনায়ক হিসেবে বিপিএল মাতাবেন। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলেছেনও তিনি।

ব্যাটিংয়ের নামার প্রয়োজন না হলেও বোলিং করেছিলেন ২.৩ ওভার। পেস বোলার হিসেবে তারকা খ্যাতি থাকলেও মাশরাফি এদিন বোলিং করেছেন স্পিনারদের মতো রান আপ নিয়ে। এদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে কোটার চার ওভারই বোলিং করেছেন মাশরাফি। বোলিংয়ে আগের মতো গতি না থাকার সঙ্গে ফিটনেস ইস্যুতে সমালোচনা হচ্ছে ব্যাপক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.