চট্টগ্রামের বিশাল পুঁজি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের খেলায় আভিষ্কা ফার্নান্দোর অসাধারণ ইনিংসে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৯৩ রান করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আভিষ্কার পাশাপাশি এ দিন ঝড় তোলেন কার্টিস ক্যাম্ফারও। এ ছাড়া শাহাদাত হোসেন দিপুর ইনিংসও স্বস্তি দিয়েছে চট্টগ্রামকে।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি চট্টগ্রামের। তাইজুল ইসলামের করা প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসানের উইকেট হারায় দলটি। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে দুনিথ ওয়েলাগের কাছে তালুবন্দি হন তিনি। ফেরার আগে অবশ্য পাঁচ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের ওভারে তাইজুল তুলে নেন ইমরানউজ্জামানকে। ৮ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড করে বিদায় করেন তাইজুল। এরপর আভিষ্কা ফার্নান্দো এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। এদের জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। দিপুকে বোল্ড করেন বিদায় করেন তিনি। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩১ রান করেন শাহাদাত। দিপু ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি করেন আভিষ্কা। ৪০তম বলে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি তোলেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী হয়ে যান এই শ্রীলঙ্কান। দুনিথ ওয়েলাগের একই ওভারে টানা তিন বলে একটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি।

দলীয় ১৯ ওভারে ফিরে যান নাজিবউল্লাহ। দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। আফগান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ ১৯ বলে ১৮ রান করে এক্সট্রা কাভারে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। রাব্বির পরের তিন বলে তিনটি চার হাঁকিয়ে দলের রান আরও বাড়িয়ে দেন কার্টিস ক্যাম্ফার। এই দুজনের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত দারুণ সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম। ৫০ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন আভিষ্কা, ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কার মার। ক্যাম্ফার করেন ৯ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৯ রান। এই বিপিএলে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রানের সংগ্রহ।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.