বিপিএলে এসে না খেলে ফিরে গেলেন হারিস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছিলেন মোহাম্মদ হারিস। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে না পারলেও এবারের মৌসুমের আগে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জাতীয় দলের স্কোয়াডে না থাকায় বিপিএল শুরুর আগেই বাংলাদেশে এসেছিলেন হারিস।

চট্টগ্রামের অনুশীলন ক্যাম্পেও ছিলেন তরুণ এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল চট্টগ্রাম। তবে খেলা হয়নি তার। দলের সঙ্গে হোটেল থাকতেই ম্যাচের আগের দিন রাতে খবর পান বিপিএল খেলার জন্য অনাপত্তি পত্র পাননি তিনি। পিএসএলের বাইরে দুটি বিদেশি লিগ খেলে ফেলায় তাকে এনওসি দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

এনওসির জন্য দুদিন অপেক্ষা করা হারিস খেলতে পারেননি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও। শেষ পর্যন্ত সুরাহা না হওয়ায় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে হারিসকে। বিপিএল খেলার অনুমতি না পাওয়ায় রবিবার (২১ জানুয়ারি) পাকিস্তানের বিমান ধরেছেন তিনি। দুবাইয়ে ট্রানজিট শেষে পাকিস্তানে পৌঁছাবেন এই ব্যাটার।

পাকিস্তানের লাহোরে নামবেন হারিস। এরপর সেখান থেকে নিজের শহর পেশাওয়ারে যাবেন পাকিস্তানের তরুণ এই ওপেনার। হারিসের মতো বিপিএল খেলার জন্য পিসিবি থেকে এনওসি পাননি চট্টগ্রামের হয়ে খেলার কথা থাকা মোহাম্মদ হাসনাইন।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাকে এনওসি দেয়নি পিসিবি। এদিকে বিপিএল খেলার জন্য এনওসি পাননি ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদের মতো ক্রিকেটাররাও। বিপিএলের এবারের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলার কথা ছিল ইফতিখারের।

এদিকে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ফখর। দুর্দান্ত ঢাকার সঙ্গে চুক্তি করেও একই কারণে বিপিএলে আসা হচ্ছে তরুণ সাইম আইয়ুবকে। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, ওয়াসিম জুনিয়রদের মতো ক্রিকেটাররা আসছেন বিপিএল খেলতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.