বাজার নিয়ে বৈঠকে বসছে সিইও ফোরাম

পুঁজিবাজারের শীর্ষ ব্রোকারহাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম আগামীকাল রোববার (২১ জানুয়ারি)  বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি, বিশেষ করে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিইও ফোরামের একাধিক কর্মকর্তা অর্থসূচককে জানিয়েছেন, ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের কারণে যাতে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে ব্যাপারে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা। তারা খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চান, থাকতে চান বাজার ও বিনিয়োগকারীদের পাশে।

তারা বলেছেন, ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার হলেও উদ্বেগের কিছু নেই। দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতা অনেকটাই কেটে গেছে,  রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে চাপমুক্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেকটা যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। তাই বাজার নিয়ে উদ্বেগের তেমন কিছু নেই। শুধু ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের কারণে যাতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত না হন, বাজারে বিক্রির চাপ তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের কথা বলবেন। পাশাপাশি নিজেরা বিনিয়োগে থাকার চেষ্টা করবেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫ কোম্পানি ব্যাতিত বাকী সব কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত রোববার কার্যকর হবে। আলোচিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারে কাল থেকে স্বাভাবিক সার্কিটব্রেকার কার্যকর থাকবে।

উল্লেখ, ফ্লোরপ্রাইস হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেওয়া হয়। এ দরের নিচে কোনো শেয়ার কেনাবেচা করা যায় না।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং শ্রীলংকার দেউলিয়া ঘোষণাজনিত আতঙ্কের প্রেক্ষিতে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দর পতনের আশংকার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। তার আগে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর একবার ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করা হয়েছিল।

ফ্লোরপ্রাইস আরোপের ফলে বাজারে লেনদেন ব্যাপকভাবে কমে যায়। এতে ব্রোকারহাউজসহ সব স্টেকহোল্ডার ক্ষতির মুখে পড়ে। অনেক বিনিয়োগকারীও সমস্যায় পড়েন, অতি জরুরি প্রয়োজনেও তারা বাজার থেকে টাকা প্রত্যাহার করতে পারছিলেন না।

দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকায় বাজার একরকম মুখ থুবড়ে পড়ে। এ কারণে তা প্রত্যাহারের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছিল। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিএসইসি ৩৫ কোম্পানি ছাড়া বাকী কোম্পানিগুলোর উপর থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.