অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশের যুবারা

শুরুতে উইকেট হারালেও স্যাম কোনটাস ও হিউজ ওয়েবগেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার যুবারা। তবে মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও পারভেজ জীবনের স্পিনে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। শেষ দিকে রোহানাত দোল্লা বর্ষণের হ্যাটট্রিকে অজিদের মাত্র ১৬৫ রানে আটকে দেয় টাইগার যুবারা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরির পরও ম্যাচ জিততে ৫ উইকেট হারায় মাহফুজুরের দল। শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে অজিদের ৫ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য ১৬৬ রান তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশের যুবারা। উদ্বোধনী জুটিতে আদিল বিন সিদ্দিক এবং আশিকুর রহমান শিবলি মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন কলাম ভিডলার। ডানহাতি এই পেসারের বলে রায়ান হিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৫ বলে ১৯ রান করা আদিল।

তিনে নেমে ওপেনার আশিকুরকে সঙ্গ দিতে থাকেন জিসান আলম। তাদের জুটি যদিও খুব বেশি বড় হতে দেননি ভিডলারই। তরুণ এই পেসারের বলে সেই রায়ানকেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আশিকুর। বাংলাদেশের এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান। আশিকুর ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিসান।

রাফায়েল ম্যাকমিলানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন মারকুটে এই ব্যাটার। তিনে নামা জিসান আউট হয়েছেন ২৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে। আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন রিজওয়ান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৫ রান। আরিফুলের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। সাবেক অধিনায়ক আহরার আমিন খুব বেশি সুবিধা করতে না পেরে ৯ রান ফিরে গেছেন। যদিও মোহাম্মদ শিহাব জেমসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। বাংলাদেশকে জিতিয়ে শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৫৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভিডলার দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন চার্লি অ্যান্ডারসন, ম্যাকমিলান এবং মাহলি বেয়ার্ডম্যান।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬৫ রানে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়ার যুবারা। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন হারজাস সিং। বাংলাদেশের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন বর্ষণ। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে রায়ান হিকস, এইডেন ও’কন্নর এবং ম্যাকমিলানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন বর্ষণ। এ ছাড়া মাহফুজুর নিয়েছেন দুটি উইকেট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.