মোসাদের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি ইরানের

ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলের ‘গুপ্তচর মোসাদের সদরদপ্তরে’ হামলার দাবি করেছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড। ইরানের এই আক্রমণের পরেই মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরো ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর এই সংঘাত শুরু হয়।

ইরানের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, এলিট ফোর্স সিরিয়াতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।

দেশটির রেভলিউশনারি গার্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘ইরাকের কুর্দিস্তানে মোসাদের গুপ্তচর সদরদপ্তর ছিল। সেটা ব্যালেস্টিক মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’

রয়টার্স জানিয়েছে, তারা এই রিপোর্ট এখনো যাচাই করতে পারেনি। ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্যও তারা পায়নি।

গতমাসে ইসরায়েলের হামলায় সিরিয়ায় রেভলিউশনারি গার্ডের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। ইরান জানিয়েছিল, তারা এর বদলা নেবে।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে চালানো হামলায় ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার কাজে ওই ঘাঁটিটি ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ ফ্রন্টের কয়েকজন কমান্ডারকে হত্যা বিশেষ করে সিরিয়ায় আইআরজিসি’র একজন কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই মোসাদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রমাণিত হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেসব ঘাঁটিতে অপতৎপরতা চলে সেগুলো ইরানের নখদর্পণে রয়েছে। বিবৃতিতে ইরানি জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করা হয় যে, দেশটির স্বার্থে যে কেউ যেকোনো স্থানে আঘাত হানবে তাকে তার অপরাধের শাস্তি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণের নিন্দা করেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের কোনো কিছু আক্রান্ত হয়নি। ফলে কোনো মার্কিন নাগরিক মারা যাননি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.