বাবর-ফখরের হাফ সেঞ্চুরির পরও হারল পাকিস্তান

ফিন অ্যালেনের ৭৪ রানে ভর করে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাবর আজম ও ফখর জামানের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেট দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেই সফরকারীদের ব্যটিংয়ে ধস নামে। মাত্র ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ফলে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে শাহীন আফ্রিদির দল।

স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১০ রানের মধ্যেই হারিয়ে বসে পাকিস্তান। মাত্র এক রান করা আইয়ুবকে প্রথম ওভারেই ফেরান টিম সাউদি। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই আরেক ওপেনার রিজওয়ান ফেরেন ৭ রান করে।

অ্যাডাম মিল্নের ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারি রিজওয়ানের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে ডেভন কনওয়ের গ্লাভস বন্দি হয়। তবে শুরু এই ধাক্কাটা বেশ ভালোই সামাল দিয়েছেন বাবর ও ফখর। তাদের ৮৭ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে সফরকারীরা। কিন্ত মিল্নের শর্ট ডেলিভারিতে সেই স্বপ্ন ভাঙে তাদের। এরই মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বাবর।

মাত্র ২৩ বলে ৫ ছয় ও ৩ চারে নিজের ৫০ রান পূরণ করেন আরেক ব্যাটার ফখর। এর এক বল পরেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাবর একপাশ আগলে রাখলেও বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। ইফতিখার আহমেদ ৪ রান, আজম খান ২ রান ও আমির জামাল ফেরেন ৯ রান করে। ফলে ১২৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর হাফসেঞ্চুরি করা বাবর ৬৬ রান করে ফিরে গেলে বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তার ২ ছয় ও ৭ চারে সাজানো এই ইনিংস থামে বেন সিয়ার্সের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে। এরপর আফ্রিদির ২২ রান ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। ফলে ২১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানকে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিলনে নিয়েছেন চারটি উইকেট। সাউদি, সিয়ার্স ও ইশ সোদি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এদিন হ্যামিল্টনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কিউইরা। ওপেনিং জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন ফিন অ্যালেন ও কনওয়ে। টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন। তবে আগের ম্যাচে ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করার আক্ষেপ এই ম্যাচে ঘুচিয়েছেন অ্যালেন। ৫ ছয় ও ৭ চারে খেলেছেন ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। তাতে ভর করেই ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইরা সংগ্রহ পায় ১৯৪ রানের।

কনওয়ে ২০, কেন উইলিয়ামসন ২৬ ও মিচেল স্যান্টনার খেলেছেন ২৫ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের বোলারদের হয়ে হারিস রউফ একাই নেন ৩ উইকেট, দুটি উইকেট পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। আমের জামাল, উসামা মির নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.