আমি পাকিস্তানের অনলাইন কোচ ছিলাম না: আর্থার

গত বছর খুব অদ্ভূত এক চুক্তিতে পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মিকি আর্থার। দেশটির ‘অনালাইন কোচ’ তথা ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এ নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়। বর্তমানে অবশ্য পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে নেই আর্থার।

পাকিস্তান ক্রিকেট পরিচালকের পাশাপাশি আর্থার ইংল্যান্ডের কাউন্টির দল ডার্বিশায়ারেরও কোচ ছিলেন। তার সঙ্গে এ কারণে অভিনব এক উপায়ে চুক্তি করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটের মৌসুম যখন চলবে, সে সময় সেখান থেকেই পাকিস্তানকে অনলাইনে নির্দেশনা দেবেন তিনি – এমনই ছিল শর্ত।

এমন চুক্তি নিয়ে কথা অনেক হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা আর্থার এবং পিসিবিকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করে। এসব নীরবেই সহ্য করেন আর্থার। দলটির সঙ্গে দায়িত্ব ছিন্ন হওয়ার পর এই সাউথ আফ্রিকান জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে, এই সমালোচনাগুলো আমি দেখেছি, আমার এগুলোকে অজ্ঞতা মনে হয়েছে। কারণ, যারা আমাকে চেনে, তারা জানে, কোনো বিষয় করতে না পারলে আমি সেখানে শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই না। ডার্বিশায়ারে আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম, সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ ছিল গত বছর। আমি কখনো পাকিস্তানের অনলাইন কোচ ছিলাম না, কোচিং স্টাফদের আমি একসঙ্গে রাখছিলাম। তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন যোগাযোগ করতাম, দলে কী চলছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখতাম। যদি গ্রান্ট ব্রাডবার্ন কিংবা অন্য যেকোনো কোচের যে ধরনের সহায়তা লাগত, আমি সব সময় সেটা করতে পারতাম। দল নির্বাচন, দলের পরিকল্পনা এবং প্রতিটি খুঁটিনাটি কৌশল-সবকিছু আমি জানতাম। আমি প্রতিদিন ড্রেসিংরুমে থাকব না, সেটা জেনেই আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চুক্তিতে যা ছিল, তা প্রতিদিন করেছি।’

শেষবারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৫টিতে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। মূলত এরপরেই পাল্টে যায় পাকিস্তান ক্রিকেটের খোলনলচে। তারপর পাকিস্তানের কোচিং স্টাফসহ দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে ব্যাপক রদবদল আনা হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.