‘গুলি চালাবেন না, আমাদের মারবেন না’

ইকুয়াডোরে টিভি স্টুডিওতে হামলা

ইকুয়াডোরের টিসি টেলিভিশনের স্টুডিও-তে মঙ্গলবার আচমকাই ঢুকে পড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাদের সঙ্গে বোমা ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। লাইভ চলাকালীন স্টুডিও-তে ঢুকে তারা চিৎকার করে বলতে থাকে, তাদের কাছে বোমা আছে। লাইভেই বেশ কয়েকবার গুলির আওয়াজ শোনা যায়। শোনা যায় এক নারী সাংবাদিকের চিৎকার, ‘গুলি চালাবেন না, আমাদের মারবেন না।’

সন্ত্রাসীরা টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসটি কিছুক্ষণ নিজেদের দখলে রাখে। তবে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই হয় সন্ত্রাসীদের। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সকলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইকুয়াডোরের এক মাদক মাফিয়া জেল থেকে পালিয়েছে। সেই ঘটনার পর দিকে দিকে হামলার ঘটনা ঘটছে। সোমবারই দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দেশজুড়ে ৬০ দিনের এমারজেন্সি বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পরেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে। এক জায়গায় সন্ত্রাসীরা বেশ কিছু পুলিশ অফিসারকে পণবন্দি করে। আটক পুলিশ অফিসারদের দিয়ে বেশ কিছু বিবৃতি পড়ানো হয়। বিবৃতির ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভীত-সন্ত্রস্ত পুলিশ অফিসাররা লেখা বিবৃতি পাঠ করছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ ঘোষণা করলে যুদ্ধই ফেরত পেতে হয়।’ শুধু তা-ই নয়, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে তার ফল ভোগ করতে হবে পুলিশ, বেসামরিক মানুষদের।’

সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে ইকুয়াডোরে। নির্বাচনী প্রচারের সময় খুন হয়েছিলেন বিরোধী নেতা। বর্তমান প্রেসিডেন্ট কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এসে লড়াই-হাঙ্গামা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করবেন তিনি। বস্তুত সে কারণেই ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। কিন্তু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেও অশান্তি বন্ধ রাখা গেল না।

এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আটক পুলিশদের কয়েকজনকে মুক্ত করা গেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.