ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে রাজনীতিতে নাম লেখানো ক্রিকেটারদের নতুন কিছু নয়। এর আগে পাকিস্তানের ইমরান খান, ভারতের আজহার উদ্দিন ছাড়াও সবশেষ দেশের মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানও করেছেন একই কাজ। একই পথে হাটতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার আম্বাতি রাইডু। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে আপাতত রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়েছেন তিনি।
সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসর শেষেই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাইডু। জনগণের দায়িত্ব নিতে সেবার নিয়োজিত হওয়ার আগে অন্ধ্র প্রদেশে নিজ জেলার গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। এ সময় অন্ধ্র প্রদেশের ক্ষমতাশীন দল ইউভাজানা স্রামিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির (ওয়াইএসআরসিপি) বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ওয়াইএসআরপি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটার যোগ দিয়েছেন ওয়াইএসআরসিপিতে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে রাইডুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগ এক্সের (টুইটার) মাধ্যমে রাইডু বলেন, ‘আমি আম্বাতি রাইডু, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইএল টি-টোয়েন্টিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করব। তাই পেশাদার খেলায় অংশগ্রহন করতে রাজনীতির সঙ্গে আমার অসম্পৃক্ততা থাকা প্রয়োজন।’
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী রাজনীতির সঙ্গে ক্রিকেটারদের কোনো রকম সম্পৃক্ততা থাকা অন্যায় নয়। এমনকি নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলে আমিরাতের এই লিগে খেলা যাবে না। এজন্যই রাইডুর বিরতি নেয়া। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান এমিরেটসের হয়ে খেলবেন তিনি।
ভারতের হয়ে সাদা পোশাকে খেলা হয়নি রাইডু। গত বছর অবসর নেয়ার আগে রঙিন পোশাকে ৫৫ ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রায় ১৮ হাজার রান করেছেন করেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার। দীর্ঘ সময় চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার আইপিএলে রান করেছেন ৪ হাজার ৩৪৮ রান। যা ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে নবম সর্বোচ্চ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.