ভোটের পরের দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতি কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন শেষ হয়েছে গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি)। নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোটের পর দিন আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) দেশের ব্যাংকগুলো খোলা রাখা হয়েছে। তবে ব্যাংকের গ্রাহক উপস্থিতি স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম।

রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা এবং দৈনিক বাংলার মোড়ের কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় এমন চিত্র দেখা যায়।

দেখা যায়, ব্যাংকের অধিকাংশ কাউন্টারই ফাঁকা রয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কাজ না থাকায় একে অন্যের সাথে ভোট নিয়ে গল্প করেই সময় পার করতেছে।

মতিঝিল, পল্টন ও এর আশেপাশের অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা কাউন্টারগুলোই ফাঁকা। কাউন্টারগুলোতে দায়িত্বরতরা একে অপরের সাথে দেশের রাজনৈতিক বিষয় ও ভোটের আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে। তবে দু’একজন করে গ্রাহক আসতেও দেখা গেছে অনেক শাখায়। যেসব গ্রাহক আজ ব্যাংকমুখি হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ আবার উত্তোলনের জন্য এসেছেন।

জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা অর্থসূচককে বলেন, ভোটের আগে লেনদেন কিছুটা স্বাভাবিক থাকে। তবে ভোটের পরের দিনই লেনদেন ও গ্রাহক কম থাকে। অনেক গ্রাহক গ্রামে গেছেন। এর ফলে গ্রাহক কম থাকাটাই স্বাভাবিক।

সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পর গ্রাহক সার্বিক পরিস্থিতি দেখে বাইরে আসেন। হয়তো আজকেও এমনটা হচ্ছে। তবে দুপুর পর গ্রাহক কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। পাশাপাশি ৬১ আসনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ২৩ দলকে খালি হাতে ফিরতে হলো। আসন পেয়েছে মাত্র পাঁচটি দল। হাঁকডাক করে তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের ১৩৫ জন প্রার্থী থাকলেও সবারই শোচনীয় পরাজয় হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.