ইসরাইল নিশ্চিতভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে: ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, বিশ্বের দাম্ভিক শক্তিগুলোর কাছ থেকে নিরঙ্কুশ সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও ইসরাইল নিশ্চিতভাবে একদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে। ভুয়া ইসরাইল সরকার অন্যায় ও অবিচারের মাধ্যমে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু ঐশী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যায় ও অবিচারের কোনো স্থায়িত্ব নেই। শুধুমাত্র ন্যায়বিচার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা টিকে থাকবে।

শনিবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জানজানে এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রায়িসি বলেন, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এদেশের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের শত্রুতার প্রধান কারণ ইরান নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সমস্ত শত্রুতা সত্ত্বেও আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা ও নীতি হচ্ছে বিশ্বের নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর পক্ষে থাকা।

তিনি বলেন, ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) চার দশকেরও বেশি সময় আগে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ইহুদিবাদীদের কবল থেকে জেরুজালেম আল-কুদস শহর মুক্ত করা এবং ইসরাইল সরকারের বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন যে নীতি তেহরান এখনও ধারন করে। ইরান চার দশক ধরে ফিলিস্তিনি জাতির অধিকার নিয়ে যে কথা বলে এসেছে গোটা বিশ্ব এখন তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলার জন্য গত প্রায় ৪৫ বছর ধরে নানারকম শত্রুতা ও অন্যায় আচরণের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরে যায়নি তেহরান। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ইরান সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হুমকি ধমকির কথা উল্লেখ করে রায়িসি বলেন, তারা ভেবেছিল তারা ইরানকে পরমাণু শিল্প থেকে বঞ্চিত করতে পারবে, কিন্তু তা পারেনি। সামরিক শিল্পের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এসব শিল্পে আমাদের অর্জন অনেক এবং আমাদেরকে এখনও আরো বহুদূর যেতে হবে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ নানামুখী চাপ সত্ত্বেও ইরান ৫% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে প্রেসিডেন্ট রায়িসি উল্লেখ করেন। পার্সটুডে

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.