স্টাম্পিং ও কনকাশন বদলির নিয়মে পরিবর্তন এনেছে আইসিসি

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বেশ কিছু নিয়ম এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রায় প্রতি বছরই নিজেদের পুরোনো কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনে আইসিসি। এবারও কয়েকটি বহুল প্রচলিত নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সবধরনের ক্রিকেটে এতদিন একটি বাড়তি সুবিধা পেতেন উইকেটরক্ষকরা। কোনো বোলারের ডেলিভারিটি কোনো ব্যাটারের ব্যাটে লেগে তাদের গ্লাভসে গেছে কিনা (ক্যাচ হয়েছে কিনা)- এটা পরখ করে দেখার জন্য আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চাইতেন তারা। ঠিক একইসঙ্গে সেই ব্যাটারকে স্টাম্পিং করার লক্ষ্যে স্টাম্পের বেল ফেলতেন তারা। রিভিউ নেয়ার পর আম্পায়ারও দুটি জিনিস খতিয়ে দেখতেন। এক, বলের সঙ্গে ব্যাটের সংযোগ হয়েছে কি-না; দুই- ব্যাটার পিচ লাইনের বাইরে ছিলেন কি-না। অর্থাৎ কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই দু্টি সুবিধা পেত ফিল্ডিং দল।

সামান্য কৌশলী হয়েই এতদিন আইসিসি’র আইনের ‘দুর্বলতা’র সুযোগ নিত উইকেটরক্ষকসহ পুরো ফিল্ডিং দল। উইকেটরক্ষক যদি শুধু কট বিহাইন্ডের আবেদন জানায়, তাহলে বল-ব্যাটে সংযোগ না হলে রিভিউ হারানোর নিয়ম আছে আইসিসির।

এজন্যই তারা স্টাম্পিং করে বিনা ঝুঁকিতেই দুটি জিনিসের আবেদন জানাতে পারতেন। এবার নিয়ম সংশোধন করেছে আইসিসি। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

আইসিসির নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, এবার আর সেই ‘সুবিধা’ পাবে না উইকেটরক্ষক তথা ফিল্ডিং দল। এই নিয়মে কট বিহান্ডের আবেদন জানাতে হবে আলাদা করে। শুধুমাত্র স্টাম্পিংয়ের আবেদন করলে আম্পায়ার কট বিহাইন্ড চেক করবেন না।

এ ছাড়া কনকাশন বদলির নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটারকে যদি কনকাশন বদলি হিসেবে খেলাতে হয়, তাহলে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে কনকাশনে নামা ক্রিকেটারও বল করতে পারবেন না।

একইসঙ্গে এটাও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনোভাবে চোট পেলে মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না। এ ছাড়া নো বল ডাকার ক্ষেত্রে টিভি আম্পায়ারকে আরও স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে টিভি আম্পায়াররা সব ধরনের নো বল পরীক্ষা করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.