প্রফেসর ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ এর সিএমএ পেশায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিএমএবি মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে নীলক্ষেতের রুহুল কুদ্দুস মিলনায়তনে একটি “স্মরণসভা” অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ড. বালা শিক্ষাক্ষেত্রে ছিলেন অন্যতম সেরা দূত, গুগল পণ্ডিত এবং এই পেশার ছিলেন আলোকবর্তিকা। তিনি ইনস্টিটিউটের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা, পরীক্ষা, অ্যাডভোকেসি, ব্র্যান্ডিং, রেগুলেটার প্রাকটিস, গবেষণা এবং উন্নয়ন থেকে শুরু করে এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে অধ্যাপক বালা তার পদচিহ্ন রাখেননি। গত ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে এই মহান ব্যক্তিত্বকে হারানোর মধ্য দিয়ে আইসিএমএবিতে এমন একটি স্থায়ী শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে যা কখনই পূরণ হবার নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. বালা’র সহকর্মী হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিল সদস্য, আইসিএমএবি,মোহাম্মদ সেলিম এফসিএমএ; আব্দুল মতিন পাটোয়ারী এফসিএমএ, কাউন্সিল সদস্য, আইসিএমএবি; এস এম জহির উদ্দিন হায়দার এফসিএমএ, কাউন্সিল সদস্য, আইসিএমএবি; অধ্যাপক ড. মো. মুসফিকুর রহমান এফসিএমএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কামরুল আনাম খান এফসিএমএ, নির্বাহী পরিচালক, বিএসইসি। সভায় বক্তাগণ অধ্যাপক ড. বালার সঙ্গে তাদের নানা স্মৃতি স্মরণ করেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. বালার কনিষ্ঠ কন্যা শ্রীমতি সর্বাণী বালা এবং তার স্ত্রী শিখা রায়। তাঁরা ড. বালাকে এ ধরনের স্মরণের মাধ্যমে জীবিত রাখার প্রচেষ্টার জন্য আইসিএমএবি’র প্রশংসা করেন।
আইসিএমএবি সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ বলেন, সিএমএ পেশায় ড. বালার অবদান কোনো অর্থেই পরিমাপ করা যাবে না। ড. বালা আইসিএমএবি’র আইন এবং প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। কৃষ্ণ মুনি এফসিএমএ ডক্টর বালা’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
তিনি এমন একজন বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে দলমত নির্বিশেষে সকলে তাকে পছন্দ করতেন। ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন সভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, ফেলো ও এসোসিয়েট সদস্যগণ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে সকলে এই মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করেন।
অর্থসূচক/এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.