পরাজয়ের হতাশা থেকেই হামাস নেতাকে হত্যা করেছে ইসরাইল: ইরান

গাজা যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি ও হতাশা থেকেই ইসরাইল হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরিকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেন, আরুরির শাহাদাত শুধুমাত্র ফিলিস্তিন জুড়ে নয় বরং সমগ্র অঞ্চলে এবং বিশ্বের স্বাধীনতাকামী জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ ও দখলদারিত্ব বিরোধী সংগ্রামের প্রেরণা জোগাবে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে এক ড্রোন হামলায় আরুরি নিহত হন এবং তার পরপরই ইরান এ প্রতিক্রিয়া জানায়। হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ প্রধান আরুরিকে গত ৭ অক্টোবরের ইসরাইল বিরোধী আল-আকসা তুফান অভিযানের ‘প্রধান স্থপতি’ বলে অভিহিত করা হয়।

নাসের কানয়ানি বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর আল-আকসা তুফান অভিযানে ‘ভয়াবহ পরাজয় ও অপূরণীয় ক্ষতির’ শিকার হয়ে গুপ্ত হত্যার পথ বেছে নিয়েছে ইসরাইল। গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যার মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো অটল ও অবিচল থাকায় এবং আত্মসমর্পণ না করায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আরুরিকে হত্যা করেছে তেল আবিব। এর মাধ্যমে অপরাধী ও ঠুনকো ইসরাইল সরকার আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি ‘হত্যাকাণ্ড ও অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসরাইল হামাস নেতাকে হত্যা করতে গিয়ে লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে যা নিন্দনীয় অপরাধ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কানয়ানি তার প্রতিক্রিয়ার শেষাংশে তেল আবিবের এই নতুন হঠকারিতার পরিণতির ব্যাপারে ইসরাইল ও তার দোসরদের সতর্ক করে দিয়েছেন। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.