সালেহ আল-আরুরির রক্ত বৃথা যাবে না: হামাস প্রধান

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রবাসী পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া তার ডেপুটি সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিপূর্ণ সন্ত্রাসবাদ ও লেবাননের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে মূল্য দিতে হবে।

ইসমাইল হানিয়া ওই গুপ্তহত্যার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শহীদ আরুরি ও তার সহকর্মীদের তাজা রক্ত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের হাজার হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এই রক্ত বৃথা যাবে না। যে আন্দোলন তার জাতিকে নিজের প্রতিষ্ঠাতা ও কমান্ডারদের শাহাদাতকে উপহার হিসেবে পেশ করে সেই আন্দোলন কখনও পরাজিত হয় না।

হামাসের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কেবল হামাসের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং অটল সংকল্পকে আরো শক্তিশালী করবে। ইতিহাস সাক্ষী, প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতিটি নেতার হত্যাকাণ্ডের পর এই আন্দোলন আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও দৃঢ়সংকল্প হয়ে উঠেছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রধানও বৈরুতে ইসরাইলি সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিয়াদ আন-নাখালাহ বলেছেন, শেখ সালেহ আল-আরুরি ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে একজন বিশিষ্ট এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। আমরা এমন সময় তাকে হারিয়েছি যখন তার উপস্থিতি আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি তার চারপাশের মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও প্রশান্তি সৃষ্টি করেছিলেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে এক ড্রোন হামলায় আরুরি নিহত হওয়ার পরপরই তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানায়। হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপ প্রধান আরুরিকে গত ৭ অক্টোবরের ইসরাইল বিরোধী আল-আকসা তুফান অভিযানের ‘প্রধান স্থপতি’ বলে অভিহিত করা হয়। গতরাতের হামলায় আরুরি ছাড়াও হামাসের সামরিক বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের দুই কমান্ডারসহ মোট ছয়জন নিহত হন। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.