নির্বাচন করতে পারবেন না শাম্মী আহমেদ ও সাদিক আবদুল্লাহ

বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদ ও বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে পারছেন না।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতি শাম্মী আহমেদের আরেকটি আবেদন পূর্ণাঙ্গ আবেদন পাঠান। ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারক দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিলে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশে সম্মতি দেন।

শাম্মীর বিরুদ্ধে স্মার্টকার্ডের তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করা, অস্ট্রেলিয়ার ভোটার হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ দেবনাথ। বরিশাল-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। এবার তাঁর জায়গায় আওয়ামী লীগে মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদকে। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলেও আদালত কমিশনের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে গত মঙ্গলবার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন তিনি। আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

এ ছাড়া গত ২০ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়। আগেরদিন ১৯ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.