চলতি জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়ছে নানা অস্থিরতা। তাই এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলো কম ঋণ বিতরণে মনযোগী হয়েছে। এর ফলে গত নভেম্বর মাসেও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগে গত জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, আগস্টে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশে এবং অক্টোবরে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের কম। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের এর বেশি হতো।
চলতি জানুয়ারি মাসে গ্রাহক ঋণের সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অথচ জুনে এই রেট ছিল ১০ শতাংশের মতো। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রেণে মানি সাপ্লাই কমাতে সংকোচনমূলক ধরা অব্যাহত রাখবে তারা। ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ প্রকাশিত অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি রয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ।
এদিকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ বিবেচনা নিয় আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বরাবরের মতোই নতুন মুদ্রানীতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে মূল্যষ্ফীতি। এজন্য মুদ্রানীতির ভঙ্গিমা আরও সংকোচনমুখী করা হচ্ছে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে। এতে ঋণের সুদহার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.