মার্কিন হামলায় ১০ সেনা নিহত, হুতিদের হুঁশিয়ারি

লোহিত সাগরের মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ইয়েমেনের নৌ বাহিনীর চারটি বোটে হামলা চালানো হয়; এর মধ্যে তিনটি বোট ডুবে যায় এবং হুতিদের ১০ সেনা নিহত হয়েছেন।

রবিবার টহল দেওয়ার সময় হুতিদের চারটি নৌকা দেখতে পায় আমেরিকার সেনার একটি হেলিকপ্টার। দেখামাত্রই নৌকাগুলিকে তাড়া করা হয়। শেষ পর্যন্ত হুতিদের তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দেয় তারা। ওই নৌকাগুলিও ইসরাইল মুখি জাহাজে আক্রমণ চালানোর জন্যই সমুদ্রে গিয়েছিল বলে দাবি পেন্টাগনের। এর আগেও এভাবেই ছোট ছোট নৌকা নিয়ে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে ধারা তিনটি নৌকায় যে বিদ্রোহীরা ছিল, তাদের আর কেউ বেঁচে নেই বলে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনের নৌ সেনারা লোহিত সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য তাদের নিয়মিত টহল তৎপরতায় নিয়োজিত ছিল। এ সময় মার্কিন শত্রুরা ইয়েমেনের নৌ সেনাদের বোটে হামলা চালিয়েছে। দখলদার ইসরাইলের জাহাজগুলো লোহিত সাগরে চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যখন ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী তাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করছিল তখন আমেরিকা এই জঘন্যতম হামলা চালায়।

গত ৩ ডিসেম্বর লোহিত সাগরে প্রথমে ইসরাইল মুখি আমেরিকান জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছিল হুতিরা। এরপর একের পর এক জাহাজে তারা লাগাতার আক্রমণ চালায়। মার্কিন সেনা আগেই জানিয়েছিল, লোহিত সাগরের ওই অংশে একটি নতুন পেট্রোলিং দল তৈরি করা হবে। তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা।

এদিকে এই ঘটনার পর আরো বেশ কিছু জাহাজ সংস্থা জানিয়েছে, যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, তাতে তারাও ওই রাস্তায় পণ্যবাহী জাহাজ পাঠানো বন্ধ করে দেবে। এর আগেই বেশ কিছু সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আফ্রিকার পথ দিয়ে আপাতত জাহাজ চালাচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.