এই হার হজম করা কঠিন: নিশাম

ম্যাকলিন পার্কে তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৯৮ রানে অল আউট করেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচটা হলো একই মাঠ এবং একই উইকেটে। সেদিন যেখান থেকে শেষ করেছিলেন বোলাররা যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। শরিফুল ও মেহেদীর দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে আগের ম্যাচে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, তানজিম হাসান সাকিবরা। টি-টোয়েন্টিতে বাঁহাতি এই পেসারের সঙ্গে কিউইদের চেপে ধরলেন শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজুর রহমানরা। দারুণ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে আটকে দিয়ে প্রথমবারের মতো তাদের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে জিতল বাংলাদেশ।

সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত তখন এক প্রান্ত আগলে রাখলেন নিশাম। এদিন বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান। যেখানে বাকি ব্যাটাররা মিলে করেছেন বাকি ৮৪ রান। নিশাম সেই সময় আউট না হলে রানটা হতে পারতো আরও বেশি।

আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে নিশাম বলেন, আমাদের উইকেট পড়ার সময়টা ভালো ছিল না। বিশেষ করে যখনই মোমেন্টাম পাচ্ছিলাম, তখনই উইকেট গেছে। আমি নিজেও অসময়ে আউট হয়েছি। এই ফল হজম করাটা কঠিনই। হজম করা কঠিন হলেও জয়ের জন্য বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিশাম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা ম্যাচের শুরু থেকেই খুবই প্যাশনেট ছিল। কিছু মোমেন্টামও পেয়েছে। আমাদের জন্য এটা আরেকটা দিন, যখন আরও ১৫-২০ রান বেশি করতে পারলে ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। তবে তারা ভালো খেলেছে। জয়টা তাদের প্রাপ্য।’

সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের যেন পেস বিপ্লব চলছে। প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চোখে চোখ রেখে বোলিং করছেন পেসাররা। ২০২২ সালে টেস্ট জিততে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। এবার সামনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শরিফুল। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিচ্ছেন মুস্তাফিজুর, তানজিম সাকিবরা। বাংলাদেশের পেসারদের দারুণভাবে প্রশংসা করেছেন নিশাম।

নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথমত, এখানে কন্ডিশনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, বল বেশ ভালো রকম ঘুরেছে। বিশেষ করে আজকের প্রথম ৬ ওভারে এবং ওয়ানডের প্রথম ১০ ওভারে। যেটা সাধারণত নিউজিল্যান্ডে দেখা যায় না। এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা দরকার। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এমন ভালো মানের কিছু পেসার পেয়েছে, যাদের নিয়ে তারা ভরসা করতে পারে। ওরা যদি এভাবে উন্নতি করতে থাকে, ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে সাফল্য না পাওয়ার আমি কোনো কারণ দেখি না।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.