পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতায় এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

১ উইকেটে ১২৪ রান থেকে ৬ উইকেটে ১৭০ রান! আব্দুল্লাহ শফিক ও শান মাসুদের ব্যাটে দারুণ শুরুর পর হঠাৎই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। সফরকারীরা দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে। পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে দারুণ এক স্পেলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখলেন প্যাট কামিন্স। ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আমের জামাল।

মেলবোর্নে সাবধানী শুরু করেন ইমাম উল হক ও শফিক। খুব বেশি রান করতে না পারলেও তারা দুজনে মিলে উইকেটে টিকে ছিলেন। তাদের জুটি ভাঙেন নাথান লায়ন। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বল হালকা টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইমামের ব্যাট ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা মার্নাশ ল্যাবুশেনের হাতে যায়। অজি এই ফিল্ডার ক্যাচ লুফে নিলে ১০ রানে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শফিক এবং মাসুদ। তারা দুজনে মিলে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৯০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শফিক। পাকিস্তানের অধিনায়ক পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬৩ বলে। পাকিস্তান যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে তখনই অস্ট্রেলিয়াকে উইকেট এনে দেন কামিন্স। ডানহাতি এই পেসারের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন।

ব্যাটের মাঝামাঝি না হওয়ায় ফলো থ্রুতে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ লুফে নেন কামিন্স। দারুণ ব্যাটিং করা শফিক ফেরেন ৬২ রানের ইনিংস খেলে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাবর আজম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককেও ফেরান কামিন্সই। অজি অধিনায়কের ব্যাক অব লেংথে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন বাবর। তারকা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন মাত্র ১ রানে।

দলের রান দেড়শ হওয়ার আগে ফিরে যান মাসুদও। লায়নের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেট ছেড়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেল মার্শের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া মাসুদ আউট হয়েছেন ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন আঘা সালমান, সাউদ সাকিল। আমের জামালকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করেছেন ২৯ রানে অপরাজিত থাকা রিজওয়ান।

এর আগে ৩ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া থামে ৩১৮ রানে। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ল্যাবুশেন। এ ছাড়া মার্শ ৪১ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে অতিরিক্ত ৫২ রান দিয়েছে পাকিস্তান। সফরকারীদের হয়ে আমের জামাল তিনটি, শাহীন আফ্রিদি, মীর হামজা এবং হাসান আলী নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.