জয় দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

১৩৪ রানের মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। অ্যাডাম মিলনের করা ব্যাক অব লেন্থ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে আউট হয়েছেন ১০ রান করা রনি তালুকদার। তিনি মিড অনে ধরা পড়েছেন টিম সাউদির হাতে। ওয়ান ডাউন নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাকে থিতু হতে দেননি জিমি নিশাম। ব্যক্তিগত ১৯ রানে তিনি কাটা পড়েছেন স্যান্টনারকে ক্যাচ দিয়ে।

বেন সিয়ার্সের গুড লেন্থের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ২২ রান করা সৌম্য। অবশ্য ইশ সোধিকে পর পর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ওয়ানডে সিরিজের ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও টেনে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাকে থিতু হতে দেননি কিউই পেসার সিয়ার্স।

দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও লিটনকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস টানছিলেন তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতেই বাংলাদেশ বড় জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল। হৃদয়-লিটনের ২৯ রানের জুটি ভেঙেছেন মিচেল স্যান্টনার। কয়েক ওভার আগেই বেন সিয়ার্সকে কাউ কর্নার দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হৃদয়। তবে তার ইনিংস থেমেছে ১৮ বলে ১৯ রানে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব।

মাত্র ১ রান করে তিনি টিম সাউদির শিকার হন। অবশ্য বাকি সময়টা দেখেশুনে পার করেছেন লিটন ও শেখ মেহেদী। এই দুজনে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। লিটন ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।

এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টিম সেইফার্টকে বোল্ড করে উইকেটের খাতা খুলেছেন শেখ মেহেদী। এই অফ স্পিনারের বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে খেলতে গিয়ে স্টাম্প ছত্রখানা হয়েছে সেইফার্টের। পরের ওভারে ফিন অ্যালেনকে আউট সাইড এজ করে আউট করে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্প লাইনের বলে ব্যাট চালাতে গিয়েই ব্যাটের কানায় লেগে ফিরতে হয়েছে তাকে।

পরের বলে তিনি এলবিডব্লিউ করেছেন গ্ল্যান ফিলিপসকে। গুড লেন্থের বল ছেড়ে দিয়েছিলেন ফিলিপস। বল সোজা আঘাত হানে প্যাডে। তবে আম্পায়ার বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদন নাকচ করে দেন। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল মিডল স্টাম্পের উপরের ভাগে আঘাত করেছে। ফলে ফিরে যেতে হয় ফিলিপসকে।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে মেহেদী বোল্ড করে আউট করেছেন ১৫ বলে ১৪ রান করা ড্যারিল মিচেলকে। কিছুটা জায়গা করে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে স্টাম্প হারিয়েছেন মিচেল। এরপর বোলিং আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। তিনি ১৯ বলে ১৯ রান করা মার্ক চ্যাপম্যানকে আউট করেছেন তানজিম সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েছেন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেছিলেন মিচেল স্যাটনার ও জিমি নিশাম। এই দুজনে যোগ করেছেন ৪১ রান। স্যান্টনারকে শর্ট অব লেন্থ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়েছেন শরিফুল। ফলে ২৩ রান করে ফিরতে হয়েছে স্যান্টনারকে।

১৬তম ওভারে নিশাম চড়াও হয়েছিলেন রিশাদের ওপর। ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মেরেছেন নিশাম। পরের বলে ডিপ অঞ্চল দিয়ে চার মারেন এই কিউই ব্যাটার। সেই ওভার থেকে আসে ১১ রান। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন নিশাম।

বল স্টেডিয়ামের গ্যালারির ছাঁদে আটকা পড়ায় নতুন বল আনতে হয়। নতুন বলে মুস্তাফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের লো ফুলটস বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কাভারে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৯ বলে ৪৮ রান করা নিশাম। পরের ওভারে এসে টিম সাউদিকে ডিপ স্কয়ারে আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানিয়েছেন মুস্তাফিজ। ইনিংসের শেষ ওভারে ইশ সোধিকে ফিরিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন অভিষিক্স তানজিম সাকিব।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.