গাজায় যুদ্ধবিরতি: হামাসের পর কায়রোতে ইসলামি জিহাদের প্রতিনিধিদল

গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে আলোচনা করতে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল মিসর সফরে গেছে বলে জানা গেছে। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিনিধিদলটি মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ইসলামি জিহাদের প্রতিনিধিদল গাজা ত্যাগ করার আগে বলে গেছে, তাদের লক্ষ্য থাকবে গাজার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

এদিকে মিশরের ওয়াকিবহাল একটি সূত্র স্কাই নিউজকে জানিয়েছে, ইসরাইলিরা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করে নেয়ার জন্য কয়েক দিন আগে কায়রো ও দোহাকে অনুরোধ জানিয়েছে।

ইসলামি জিহাদের মহাসচিব সম্প্রতি বলেছিলেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে এই উপত্যকার পুনর্নির্মাণ করা হবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্ভাব্য যেকোনো চুক্তির প্রথম শর্ত। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের হাতে আটক সকল ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দিরও মুক্তি দাবি করেন তিনি।

এদিকে ইসরাইলি দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল খবর দিয়েছে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মিসর একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে চারদিন ধরে আলোচনা করে দোহায় ফিরে গেছেন। ওই প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধিদল কায়রো পৌঁছেছেন।

ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনারা প্রথমে গাজায় তাদের আগ্রাসন বন্ধ করবে এবং এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের হাতে বন্দি বয়োবৃদ্ধ ও অবশিষ্ট নারী বন্দিরা মুক্তি পাবেন। এরপর গাজার পুনর্নির্মাণ এবং পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবনার তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, এরপর ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং অবশিষ্ট ইসরাইলি বন্দিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। এই প্রস্তাবনা মিসর তৈরি করেছে এবং এখন পর্যন্ত ইসরাইল তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেনি বলে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.