মধ্য গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের বোমারু বিমান ওই এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। তাতেই কার্যত ধুলোয় মিশে গেছে মাঘাজি শরণার্থীশিবির। ঘটনায় শিশু ও নারী-সহ অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন। এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের তরফে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে বিমান থেকে বোমাবর্ষণের তথ্য ঠিক বলেই জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে আরো বলা হয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহান্তে গাজায় অভিযানের সময় অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ওই সেনার মৃত্যুর দাম দিতে হবে হামাসকে। এখনই এই লড়াই থামবে না। পাশাপাশি ইসরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর গাজার সুড়ঙ্গে হামাসের সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত এই লড়াইয়ে সেনাকে রক্তের দাম দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৫৩ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, উত্তর গাজা থেকে এবার দক্ষিণ গাজার অভিমুখে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সেনারা। তাদের অভিযান খুব সহজ নয়। ঘনজনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের ভিতরে গিয়ে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এই লড়াই আরো বেশ কিছুদিন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হাগারি জানিয়েছেন, হামাসের ৩০ হাজার অস্ত্র এবং বিস্ফোরক ধ্বংস করা হয়েছে। তার মধ্যে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মিসাইলও আছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের দিকে আপাতত অভিযান চলছে। সেখানেও হামাসের সুড়ঙ্গ আছে বলে দাবি ইসরায়েলের। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.